"নতুন করে বেনিয়ম খুঁজে পেলে মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশন (Madrasa Service Commission) তুলে দেব", এমনই মন্তব্য করলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এস এস সি নবম দশম ও প্রাথমিকের পর এবার মাদ্রাসাতে নিয়োগের ক্ষেত্রেও বেআইনি নিয়োগের অভিযোগ উঠে আসছে একের পর এক। মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনকে ৭০ হাজার টাকা জরিমানার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। ৭০ হাজার টাকা আকমল হুসেন-সহ সাত মামলাকারীকে দিতে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি।
advertisement
এদিন মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনের (Madrasa Service Commission) আইনজীবী প্রসেনজিৎ মুখোপাধ্যায়কে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় সতর্ক করে বলেন, "আমায় বেশি কথা বলাবেন না। বিপদে পড়ে যাবেন। সাপের লেজ দিয়ে কান চুলকানো ঠিক নয়।"
অভিযোগ ২০১০ সালের মাদ্রাসা শিক্ষক নিয়োগ আইনে প্রশিক্ষণ প্রাপ্তদের অগ্রাধিকার থাকলেও তা দেওয়া হয়নি। ২০১৩-২০১৪ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় বঞ্চিত হন তারা। ৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি জারি হয় এই মর্মে যে লিখিত পরীক্ষায় পাশ করলে প্রশিক্ষণপ্রাপ্তরা অগ্রাধিকার পাবেন। কিন্তু তা হয়নি। এই মামলায় আদালত জানিয়েছে মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনকে অগ্রাধিকার দিয়ে নাম সুপারিশ করতে হবে ১৫ দিনের মধ্যে। ভবিষ্যতে শূন্য পদে অগ্রাধিকার দিতে হবে।
আকমল হুসেন সহ ৭ মামলাকারীর আইনজীবী সামিম আহমেদ জানান, "২০১৪-এর মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনের লিখিত পরীক্ষায় পাশ করেন আমার মক্কেলরা। প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত হওয়া সত্বেও তাদের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অন্তর্ভুক্ত করা হয় না। দীর্ঘদিন পর একটি মামলার হলফনামা সূত্রে জানতে পারা যায় প্রশিক্ষণহীনদের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় জায়গা দেওয়া হয়েছে। বিচারপতি এই অনিয়ম ধরে ফেলেছেন।"