মদন যে এলাকার বিধায়ক, সেই কামারহাটি এলাকা আবার দমদম লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে পড়ে৷ দমদমের সাংসদ সৌগত রায়৷ এর আগেও সৌগত এবং মদনের মধ্যে খটাখটি লেগেছে৷ যদিও তা এই পর্যায়ে পৌঁছয়নি৷
ঘটনার সূত্রপাত তৃণমূলেরই একটি স্থানীয় বিজয়া সম্মিলনীর অনুষ্টানে সৌগত রায়ের মন্তব্য নিয়ে৷ সম্প্রতি পুর নিয়োগ দুর্নীতিতে নাম জড়িয়েছে কামারহাটি পুরসভার চেয়ারম্যান গোপাল সাহার৷ সেই গোপাল সাহাকে পাশে রেখেই সৌগত রায় অভিযোগ করেন, কামারহাটি পুরসভায় কোনও কাজই হচ্ছে না৷ পুরসভার চেয়ারম্যান মদন ঘনিষ্ঠ গোপাল সাহার ভূমিকা নিয়েও কার্যত প্রশ্ন তুলে দেন তিনি৷
advertisement
সৌগত রায়ের এই মন্তব্যেই পাল্টা জবাব দিয়েছেন কামারহাটির বিধায়ক মদন৷ দমদমের সাংসদকে তীব্র আক্রমণ করে তিনি বলেন, ‘জাহাজ যখন ডোবে, ইঁদুরগুলো পালিয়ে যায়৷ তৃণমূল তো ডুবছে না৷ বাপের ব্যাটার মতো লড়ছে৷ ওনার এখন মনে হচ্ছে তৃণমূল খারাপ, দলের কর্মীরা খারাপ, নেতারা খারাপ৷ এখন হঠাৎ মনে হচ্ছে৷ তাহলে এতদিন কেন বলেননি?’
এখানেই না থেমে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তুলে মদন আরও বলেছেন, দল ছাড়ার আগে শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে কথা বলার জন্য সৌগত রায়কে দায়িত্ব দিেয় বড় ভুল করেছিল তৃণমূল নেতৃত্ব৷ তীব্র কটাক্ষের সুরে মদন বলেন, ‘সৌগত রায় একটা ইঁদুরকে বাঘ করেছে৷ তিন মাস ধরে এমন করেছে মনে হয়েছে রবিন হুড. টারজানের সঙ্গে কথা বলছেন৷ হঠাৎ একদিন বললেন, শুভেন্দুর সঙ্গে আর কথা বলা সম্ভব নয়৷’
আরও পড়ুন: রোগীকে সংজ্ঞাহীন করে চা খেতে গেলেন চিকিৎসক, থেমে থাকল অস্ত্রোপচার! নাগপুরে আজব কাণ্ড
দমদমের সাংসদকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করতেও ছাড়েননি মদন৷ সৌগত রায়ের নাম করে তিনি বলেন, ‘লোকে জানে আপনি শিক্ষিত, ডিগ্রি আছে৷ আবার লোকে এটাও জানে ‘৭৭ সালে আপনি এমন রিগিং করেছিলেন এসডিপিও বরখাস্ত হয়ে গিয়েছিল৷ আপনার রিগিংয়ের জন্য ইন্দিরা গান্ধি হেরে গিয়েছিলেন৷ আপনার জন্যই ব্যারাকপুর আমাদের হাতছাড়া হয়েছিল৷ আবার বাঘের বাচ্চার মতো অর্জুন সেটা উদ্ধার করেছে৷’
মদন মিত্রকে বিতর্কিত মন্তব্য থেকে বিরত করার জন্য এর আগেও কড়া বার্তা দিয়েছে তৃণমূল নেতৃত্ব৷ খোদ দলনেত্রীও মদনকে সতর্ক করেছেন৷ এবার যেভাবে কামারহাটির বিধায়ক দলেরই সাংসদকে প্রকাশ্যে আক্রমণ করে বসলেন, তাতে শাসক দলের শীর্ষ নেতৃত্ব কোনও পদক্ষেপ করে কি না, সেটাই দেখার৷