শ্রী সারদা মায়ের আবির্ভাব পৌষ মাসের কৃষ্ণা সপ্তমী তিথিতে। ১৮৫৩ সালের ২০ ডিসেম্বর জয়রামবাটিতে শ্যামাসুন্দরী দেবীর কোল আলো করে জন্ম নিয়েছিলেন সারদাদেবী। শ্রীরামকৃষ্ণের সহধর্মিনী মা সারদা। তাঁর সারা জীবনের সাধনার ফল রামকৃষ্ণদেব অর্পণ করেছিলেন সারদা মাকে। বিবেকানন্দ তাঁকে দিয়েছিলেন সংঘ জননীর স্থান। মায়ের জন্মতিথি উপলক্ষে সেজে উঠেছে বাঁকুড়ার জয়রামবাটি। ষোড়শপচারে শ্রীমায়ের পুজোর আয়োজন এখানে। সারাদিন ধরেই সারদা মন্দিরে নানা অনুষ্ঠান রয়েছে। বিশেষ পুজো, যজ্ঞ, আরতি, ভক্তিমূলক গান, বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পাশাপাশি প্রসাদ বিতরণের আয়োজন।
advertisement
উৎসবের মেজাজ বেলুড় মঠেও। ভোরে সারদা মন্দিরে বিশেষ পুজো দিয়ে শুরু। তারপর দিনভর নানা ধরণের অনুষ্ঠান। বিশেষ হোমযজ্ঞ , সন্ধারতি দেখতে ভক্তদের ঢল নামে মঠে। বিভিন্ন স্কুল, কলেজ থেকে শোভাযাত্রা করে আসেন স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রীরা। বেলুড়মঠের মূল মন্দিরের পাশে অস্থায়ী মণ্ডপে দিনভর গান, শ্রুতি নাটক, সারদা কথামৃত পাঠ-সহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। নিম্নচাপের বৃষ্টি মাথায় করেই ভক্তদের ভিড়ে জমজমাট মঠ চত্বর।
ভগিনী নিবেদিতা বলেছিলেন, সারদা মা প্রাচীন আদর্শের শেষ প্রতিনিধি এবং আধুনিক যুগের প্রথম প্রতিনিধি। মায়ের জন্মতিথিতে তাই আট থেকে আশির ভিড়ে জমজমাট উৎসব।