ঘটনার পড়ে ট্র্যাফিক পুলিশের আধিকারিকরা গাড়িটি সরিয়ে দ্রুত রাস্তা সচল করার চেষ্টা করলেও সমস্যায় পড়তে হয় বহু মানুষকে। দুর্ঘটনাগ্রস্থ গাড়িটিতে কেউ গুরুতর আহত না হলেও নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এর কারণ হিসেবে লাগামহীন গাড়ি চলাকেই দায়ী করছেন ভুক্তভোগীরা।
আরও পড়ুন: কিছুক্ষণই কাঁপিয়ে ঝড়-বৃষ্টি কলকাতা-সহ ১৪ জেলায়…! হলুদ সতর্কতা জারি! আবহাওয়ার বড় আপডেট
advertisement
নীলাঞ্জন দাস নামে এক যাত্রী বলেন, “মা ফ্লাইওভারের নিরাপত্তা আরও কড়াকড়ি করার প্রয়োজন রয়েছে। বিশেষ করে রাতের দিকে এখানে লাগামহীন গতিতে গাড়ি চলাচল করে। এর ফলে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে। হতাহতের পরিমাণ সেরকমভাবে না থাকলেও দীর্ঘ সময় ধরে রাস্তা আটকে থাকে। ফলে গাড়ি চলাচল বিঘ্নিত হয়।”
জরুরি প্রয়োজনে বাড়ি ফিরছিলেন অরুণাভ বন্দ্যোপাধ্যায়। এই ঘটনার পর তিনি জানান, “প্রতিদিনই এই রাস্তা দিয়ে বাড়ি ফিরি একটা সময় বাইকের রেষারেষি ফলে ফলে সমস্যা হত। পরবর্তী সময়ে ফ্লাইওভারে বাইক ওঠা বন্ধ করে দেওয়া হয়। এর ফলে একদিকে যেমন সেই বাইক আরোহীদের নিয়ন্ত্রণ করা গেছে ঠিক তেমনি নিশ্চিন্তে যাতায়াতের একটা সুযোগ তৈরি হয়েছে। কিন্তু চার চাকার বেশ কিছু গাড়িও ফ্লাইওভারে বেপরোয়াভাবে আজকাল গাড়ি চালাচ্ছে। এদিকেও প্রশাসনের নজর দেওয়া উচিত। শুধুমাত্র প্রশাসন নজরদারি চালালেও হবে না। সাধারণ মানুষকেও সচেতন হতে হবে।”
তথ্যপ্রযুক্তি কর্মী স্বপন দাস অফিস থেকে বাড়ি যাতায়াতার জন্য এই রাস্তাটাই ব্যবহার করেন। তিনি বলেন, “ফ্লাইওভার দিয়ে যাতায়াত করলে যেহেতু খুব কম সময়ে পৌঁছনো যায় তাই বেশিরভাগ মানুষ ফ্লাইওভারই ব্যবহার করেন। দিনের বেলায় পুলিশের নজরদারি বেশি থাকায় সে ভাবে অবাধ গতিতে ড্রাইভিং এখানে কেউ করে না। বাইকের ক্ষেত্রেও মা ফ্লাইওভার নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। তাই বাইকের রেষারেষি রাতে সে ভাবে এখন আর হয় না। তবে চার চাকার গাড়ি প্রতিও আরও কড়া নজরদারি প্রয়োজন। না হলে এই দুর্ঘটনা আটকানো যাবে না।”
আরও পড়ুন: কোন বয়সে ‘কতক্ষণ’ ঘুমাবেন? বয়স অনুযায়ী ঠিক কতটা ঘুম ‘পারফেক্ট’? দেখে নিন তালিকা
আরও পড়ুন: AC-র তাপমাত্রা ‘কত’ রাখলে তরতরিয়ে কমবে বিদ্যুৎ বিল? জেনে নিন ‘ট্রিক্স’
যদিও দুর্ঘটনার কারণ নিয়ে ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। মা ফ্লাইওভারে বিভিন্ন সময়েই দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে বহু মানুষ। কখনও বেপরোয়া গতিতে বাইক চলাচলের জন্য, কখনও বা ঘুড়ির সুতো বাইক আরোহীদের দুর্ঘটনার কারণ হয়েছে। তবে চার চাকার গাড়ির প্রতিও যে বিশেষ নজরদারির প্রয়োজন রয়েছে তা কার্যত মনে করছেন নিত্য যাত্রীরা।