শুক্রবার রাতে টালা ব্রিজের কাছে আটক হয় বিস্ফোরক বোঝাই লরি। গ্রেফতার করা হয় লরির চালক-খালাসিকে। তাঁদের থেকে পাওয়া তথ্য কাজে লাগিয়েই এসটিএফের জালে পাচারচক্রের মূল চক্রী।
ভিও-ধৃতরা জেরায় জানিয়েছিল,
উত্তর ২৪ পরগনা থেকে বিস্ফোরকের বরাত দেওয়া হয়েছিল
ওড়িশার বালেশ্বরের কারখানা থেকে আনা হচ্ছিল
বোমার মশলার উপকরণ পটাশিয়াম নাইট্রেট
ধৃতদের জেরা করেই উঠে আসে রবিউল ইসলামের নাম
advertisement
গাড়ির চালক খালাসি ধরা পড়ার খবর পেয়েই পাততাড়ি গুটিয়ে পালায় অভিযুক্ত রবিউল ইসলাম। তব শেষরক্ষা হয়নি। শনিবার রাতেই পূর্ব মেদিনীপুর থেকে রবিউলকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশের এসটিএফ। কে এই রবিউল ইসলাম? উত্তর ২৪ পরগনার বাসিন্দা রবিউল ওই এলাকাতেই বাজির ব্যবসা করে ৷
রবিউলের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে ১ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা। বিস্ফোরক পৌছে দেওয়ার পর এই টাকাই তুলে দেওয়ার কথা ছিল ধৃত লরি চালকের হাতে। রবিউলের দাবি বাজি তৈরির জন্যই পটাশিয়াম নাইট্রেটের বরাত দিয়েছিল সে।
প্রশ্ন উঠছে, শুধু বাজি তৈরির জন্য ১০০০ কেজির বিস্ফোরক? তার বৈধ কাগজপত্রই বা ছিল না কেন? এসব প্রশ্নের কোনও উত্তর দিতে পারেনি রবিউল। রবিবার ব্যাঙ্কশাল আদালতে তোলা হলে ২৩ মার্চ পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়। বাজি ব্যবসার আড়ালেই কি চলত বোমা তৈরির কাজ? ভোটের আগে বোমা তৈরির জন্যই কি আনা হচ্ছিল বিপুল পরিমাণে বিস্ফোরক? উত্তরের খোঁজে কলকাতা পুলিশের এসটিএফ।