TRENDING:

সূর্যগ্রহণের আগে অশোকনগরে তেঁতুল গাছে গণেশের আর্বিভাব!

Last Updated:

কয়েক দিন ধরে শূরের আকার দেখা গেলেও পূর্ণ অবয়বটা বৃহস্পতিবারই পরিস্কার হয়। তার উপর এদিন সূর্য গ্রহণ। আর গ্রহণ লাগার ঠিক আগের গণেশের প্রকাশকে তারা ঐশ্বরিক বলে মনে করছেন।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
RAJARSHI ROY
advertisement

#বর্ধমান: প্রাচীন তেঁতুল গাছে এবার গণেশের দর্শন পেলেন অশোকনগরের মানুষ। এই পুর এলাকার ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে মাতৃ সদনের সামনে প্রাচীন এই তেঁতুল গাছের গোড়ায় গণেশ ঠাকুরের অবয়ব ফুটে উঠেছে। বৃহস্পতিবার সূর্য গ্রহণ শুরুর কিছু আগে সকাল বেলা এক ভ্যান চালক সেটি দেখতে পান। ব্যস, কানে কানে, জানাজানি হতেই ছুটে আসেন স্থানীয়রা।

advertisement

এই মাঠেই মহিলাদের উদ্যোগে কালীপূজাও হয় প্রতিবছর। সেই কালী পূজার আয়োজক মহিলারা ডালি সাজিয়ে নিয়ে আসে পূজোর সরঞ্জাম। শুরু হয়ে যায় গণেশ বন্দনা। সিঁদুর আর ফুল দিয়ে গনেশ পূজায় মাতেন তারা। এই মাঠের কাছেই রয়েছে অটো স্ট্যান্ড। অটো চালক তরুন দাসের দাবী, গণেশ যখন তাদের স্ট্যান্ডে দেখা দিয়েছে এবার তাদের ব্যবসা বাড়বে। শাঁখের আর কাঁসির আওয়াজ দিয়ে মহিলারা গনেশের মন্দির তৈরীর দাবি তোলেন। গাছের নিচে হাতির শূরের সঙ্গে অবয়বটা পুরো একটি গণেশের মূর্তির চেহারা নিয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা সঞ্চিতা দত্ত এদিন ঘোষণা করে দেন, এখানে গণেশের মন্দির তারা বানাবেন। স্থানীয়দের সাহায্য নিয়ে তার সমর্থনে এগিয়ে এসেছেন মিতা সরকার। তার দাবী, ঠাকুর প্রকট হয়েছে এই তেঁতুল গাছে।

advertisement

কয়েক দিন ধরে শূরের আকার দেখা গেলেও পূর্ণ অবয়বটা বৃহস্পতিবারই পরিস্কার হয়। তার উপর এদিন সূর্য গ্রহণ। আর গ্রহণ লাগার ঠিক আগের গণেশের প্রকাশকে তারা ঐশ্বরিক বলে মনে করছেন। তাই সিঁদূর চন্দন বাড়ি থেকে নিয়ে এসে পূজাও শুরু করেছেন তারা। আর তেঁতুল গাছে গণেশকে দেখতে এলাকায় ভিড় জমছে বেশ । সবার কৌতুহল, গাছে গণেশ কেমন ভাবে প্রকট হল ।

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
দূর দূরান্ত থেকে মানুষ আসে শুধু সূর্যাস্ত দেখতে, বাংলার এই 'অনামী' স্পট এখন 'হটফেভারিট'!
আরও দেখুন

পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চের কাছে তেঁতুল গাছে গণেশের আর্বিভাব খবর পৌছায় । আশোকনগর পুর এলাকার বাসিন্দা দেবব্রত ঘোষ। পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চের জেলা কমিটির সদস্য। তিনিও এই তেঁতুল গাছে গণেশ দেখতে আসেন। সরজমিনে খতিয়ে দেখেন পুরো বিষয়টি। দেবব্রত ঘোষের মতে, গাছের গোড়ায় গণেশ ঠাকুরের মত দেখতে একটা জিনিস গাছের গায়ে তৈরি হয়েছে। তবে সেটা কোন ঠাকুরের আবির্ভাব নয় বলে তার মত। তিনি দাবি করেন, তেঁতুল গাছের ছাল উঠে গিয়ে গাছের আঠা গড়িয়ে পড়েছে। আর সেই আঠা গড়িয়েছে এমন ভাবে যে সেটা দেখে গনেশ ঠাকুর ভাবছেন অনেকে। তার মতে, ঈশ্বর এভাবে প্রকট হন না। মানুষের কুসংস্কারের ফলেই বাড়ছে বিপত্তি। সেই সঙ্গে দেবব্রত ঘোষ উল্লেখ করতে ভোলেনি কয়েক বছর আগে গণেশের দুধ খাওয়া নিয়ে মানুষের  উন্মাদনার কথাও।

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/কলকাতা/
সূর্যগ্রহণের আগে অশোকনগরে তেঁতুল গাছে গণেশের আর্বিভাব!
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল