প্রশ্ন দানা বেঁধেছে সিপিআইএম এবং কংগ্রেসের নিচু তলার কর্মীদের মধ্যে। অন্যদিকে সিপিআইএমের কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিরা ইন্ডিয়া জোটে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পঞ্চায়েত ভোটে ধাক্কা খেয়েছে বামেরা। কিন্তু ভবিষ্যৎ কি? ইন্ডিয়া’ জোটের সঙ্গে বামেরা থাকায় নিচু তলায় বাম কর্মীদের একাংশের মনে ক্ষোভ এবং সংশয় দেখা দিয়েছে। কারণ ২০১১ সালে তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় আসার পর বামেদের পার্টি অফিস দখল থেকে আরম্ভ করে বাম কর্মী সমর্থকদের উপর যে ভাবে আঘাত নেমে এসেছিল তারা কেউ ভুলতে পারেনি। যার ফলেই পঞ্চায়েত ভোটে সিপিআইএমের ১৬% ভোট ৯% নেমে এসেছে। যেটা খুব তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
advertisement
এরাজ্যে কংগ্রেস দুটি তিনটি জেলা ছাড়া সেরকমভাবে আর কোথাও লক্ষ্য করা যায় না। বাদবাকি জেলাগুলোতে বামেরা এখনও পর্যন্ত কোথাও দ্বিতীয় কোথাও তৃতীয় স্থানে রয়েছে। তবে ২০২১এ বিধানসভা নির্বাচনে বামেরা শূন্য হয়েছিল। ঊনিশের লোকসভা নির্বাচনেও বামেরা শূন্য।
সিপিআইএম নেতা সুজন চক্রবর্তী একটি টিভি চ্যানেলকে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে বলেন,’বিজেপির বিরুদ্ধে আমরা সবাই একযোগে লড়তে চাই। কিন্তু এ রাজ্যে ইন্ডিয়া জোটে থাকলেও তৃণমূলের সঙ্গে কোন সমঝোতা নেই।’ রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, সুজন বাবুর মত বর্ষীয়ান নেতারা বুঝেছেন, এ রাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে যদি বামেরা জোট করে তাহলে বামেদের ভোটের শতাংশের হার পাঁচ এর নীচে নেমে যাওয়া সম্ভাবনা রয়েছে। যার ফলে ইতিমধ্যে লোকসভা নির্বাচন নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে বামেদের মধ্যে। তবে আইএসএফের মতো দলকে কটা আসন ছাড়া হবে, সেটা নিয়ে কিন্তু এখনও খোলসা করে কিছু বলতে পারেননি না সুজন বাবু।