বন্দর চেয়ারম্যান, পি এল হরনাদ জানিয়েছেন, "আমরা একটি বিশ্বমানের টার্মিনাল তৈরি করছি। যেখানে জাহাজ এসে দাঁড়াবে। বেশি ওজনের ক্রেন আমরা ব্যবহার করব। কন্টেনার সেখানেই আনলোড হবে। প্রয়োজনে লোডিংয়ের কাজও সেখানে করা হবে। সেখান থেকেই রেল বা পণ্য পাঠানোর জন্য গাড়ি রাখা থাকবে। লকগেটের জন্য অপেক্ষা করতে হবে না।"
advertisement
প্রসঙ্গত, লকগেট খোলা তারপর জাহাজ ঢোকা-বেরনো এই সব কাজে প্রায় ২ ঘণ্টা সময় লেগে যায়। এখন খিদিরপুর ডকের বাইরে যদি এই আধুনিক টার্মিনাল তৈরি হয়ে যায়, তাহলে পণ্য খালাসে সময় কমবে। আপাতত এই প্রকল্পের জন্য পরিবেশগত ছাড়পত্র নেওয়া হয়ে গেছে। ডিটেইলড প্রজেক্ট রিপোর্ট তৈরি করা হচ্ছে। চেষ্টা করা হচ্ছে শীঘ্রই কাজ শুরু করে দেওয়ার। বন্দর ক্ষেত্রে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বে রৌপ্য জয়ন্তী পালন করা হচ্ছে বন্দরে।
বন্দর ক্ষেত্রে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্ব মডেলে প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে। জাহাজ চলাচল ও বন্দর ক্ষেত্রে উন্নয়নের জন্য আগামী ৭-৮ বছরে আরও ২৮ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগের পরিকল্পনা রয়েছে।মাল্টিমডেল পরিবহণের ক্ষেত্রে বিশেষ জোর দেওয়া হচ্ছে।কলকাতায় ইতিমধ্যেই খিদিরপুর ডকের জন্য ছাড় ঘোষণা করা হয়েছে। এখন থেকে খিদিরপুর ডকেও কন্টেনার আনা যাবে।
হলদিয়া ডক কমপ্লেক্সে ২ নম্বর বার্থে ৩০০ কোটি টাকা ছাড় দেওয়া হবে।শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জী বন্দর কলকাতার চেয়ারম্যান জানিয়েছেন, ২০২৪ সালের মধ্যে নেতাজী সুভাষ ডক – এর কাজ সম্পন্ন হবে। বলাগড়ে গেট সুবিধা বাড়ানোর প্রস্তাব রয়েছে বলেও তিনি জানান। এছাড়াও, শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জী বন্দরে জেটি উন্নয়নের কাজ হাতে নেওয়া হয়েছে।
বর্তমানে ৭৫০ কোটি টাকা বিনিয়োগে ৩টি প্রকল্পের কাজ চলছে। কলকাতা শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জী বন্দরে হুগলী নদীর নীচে সুড়ঙ্গ নির্মাণের কাজ চলছে বলেও তিনি জানান। এটি চালু হলে কোণা এক্সপ্রেসওয়ের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপন করা যাবে। রেল টার্মিনাল সহ মাল্টিমডেল পরিবহণের উপর জোর দিতে হবে বলেও চেয়ারম্যান উল্লেখ করেন।