বুধবারই রাজ্যের ১০৮ পুরসভার ফলপ্রকাশ হয়েছে। কোন পুরসভা দখল করা তো দূর, ভোট শতাংশের নিরিখেও বামেদের পিছনে চলে গিয়েছে বিজেপি। বিজেপি রাজ্য নেতৃত্ব এখনও ভোট সন্ত্রাসের অভিযোগ তুললেও দলের ব্যর্থতা নিয়ে সন্দিহান নয় রাজনৈতিক মহলের একটা বড় অংশ। এই পরিস্থিতিতে বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তথা সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় টুইট করে ‘আত্মসমীক্ষা’ শব্দটি লেখেন। অনেকেই বলছেন, রাজ্য বিজেপি-র একটা বড় অংশ বর্তমান নেতৃত্বের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তুলছেন, লকেটের ট্যুইটের ইঙ্গিত সেদিকেই। যদিও ট্যুইট কোন বিষয় উল্লেখ করেননি হুগলির সাংসদ।
advertisement
আরও পড়ুন: ধুয়েমুছে গেলেও নৈতিক জয় দেখছেন দিলীপ ঘোষ, বামেদের 'উত্থানে' তৃণমূলের হাত?
বিধানসভা ভোটের পর থেকে লকেট চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে গুঞ্জন কম হয়নি। কিছুদিন আগেও বিজেপির সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর দেখা করেছিলেন লকেট চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে। শান্তনু এখন রাজ্য বিজেপি-তে বিদ্রোহী নেতা। বিদ্রোহ দেখিয়ে এখন দলের বাইরে আছেন জয়প্রকাশ মজুমদার এবং রীতেশ তিওয়ারি। তাঁরাও গতকালের ফলাফল নিয়ে বর্তমান রাজ্য নেতৃত্বের বিষোদগার করেন। এই পরিস্থিতিতে লকেটের টুইট বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ট্রেনের চাকায় ওটা কী আটকে? মানুষের পা নাকি? হাড়হিম ঘটনা হাড়োয়ায়! বন্ধ হয়ে গেল ট্রেন
যদিও বিজেপি এখনও ফিরে আসার ক্ষমতা রাখে বলেই মনে করছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ। বিজেপি কি বাংলায় তাহলে হিমঘরে চলে গেল? এই প্রশ্নের উত্তরে দিলীপ ঘোষ জবাব দিয়েছেন, ''দেখতে পাবেন যখন নির্বাচন আসবে। যেভাবে নির্বাচনের পরে ৬০জনকে হত্যা করা হয়েছে, ভুয়ো মামলায় ফাঁসানো হয়েছে, কর্মীরা সব ভয় পেয়ে গেছেন। পঞ্চাশ শতাংশ কর্মী পুর নির্বাচনে বের হননি। স্বাভাবিক ভাবেই, আবার বের হলে মার খাবেন, মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হবে, সেই জন্য বের হননি। পরবর্তী সময়ে বেরোবেন যখন, পার্টি আবার সক্রিয় হবে।''