কী বললেন লকেট? হুগলির সাংসদের মত, দলের এবার ভুল স্বীকার করে নিতে হবে। তাঁর কথায়, ''দায় চাপিয়ে পার পাওয়া যাবে না।
সন্ত্রাস করে হোক বা যাইহোক, রায় যা হয়েছে, তা মাথা পেতে নিতে হবে। ভুল স্বীকার করে মানুষের কাছে যেতে হবে।'' বিধানসভা ভোটের পর থেকেই বিজেপি-র অন্দরে কোন্দল নিয়ে কম জলঘোলা হয়নি গেরুয়া শিবিরে।
advertisement
সেই গোষ্ঠীকোন্দলের সূত্রেই জয়প্রকাশ মজুমদার, রীতেশ তিওয়ারির মতো নেতাদের এখন কাটাতে হচ্ছে সাসপেনশনের আওতায়। সেই প্রসঙ্গেও এদিন লকেট চট্টোপাধ্যায় বলেন, ''সকলকে নিয়ে চলতে হবে। রীতেশরা তো বিজেপিরই। ওদের কথা তো শুনতে হবে। নিস্ক্রিয়দের ফেরানো নিয়ে দলের মধ্যে যা বলার বলব।''
আরও পড়ুন: পুরভোটের ফলের পরই একটা ছোট্ট ট্যুইট, তাতেই শোরগোল ফেললেন লকেট! তাহলে কি...
যদিও রীতেশদের বিষয়ে এদিনও বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, ''আগামীকাল রাজ্য সাংগঠনিক বৈঠকে পুরভোটে বিজয়ীদের সম্বর্ধনা দেওয়া হবে। ন্যাশনাল লাইব্রেরিতে বৈঠক। জয়প্রকাশ মজুমদার, রীতেশ তিওয়ারিকে কালকের বৈঠকে ডাকা হচ্ছে না। তাদের সাসপেনশন এখনও তোলা হয়নি।''
আরও পড়ুন: ছুটছে পুলিশ, পিছনে মারমুখী জনতা! হঠাৎ ঝাঁপ পুকুরে, কাঁথিতে তারপর যা ঘটল...
বুধবারই রাজ্যের ১০৮ পুরসভার ফলপ্রকাশ হয়েছে। কোন পুরসভা দখল করা তো দূর, ভোট শতাংশের নিরিখেও বামেদের পিছনে চলে গিয়েছে বিজেপি। বিজেপি রাজ্য নেতৃত্ব ভোট সন্ত্রাসের অভিযোগ তুললেও দলের ব্যর্থতা নিয়ে সন্দিহান নয় রাজনৈতিক মহলের একটা বড় অংশ। লকেটের গলাতেও সেই একই সুর। এই পরিস্থিতিতে পুরভোটের ফল প্রকাশের পর বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তথা সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় টুইট করে ‘আত্মসমীক্ষা’ শব্দটি লেখেন। অনেকেই বলছেন, রাজ্য বিজেপি-র একটা বড় অংশ বর্তমান নেতৃত্বের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তুলছেন, লকেটের ট্যুইটের ইঙ্গিত সেদিকেই। যদিও ট্যুইট কোন বিষয় উল্লেখ করেননি হুগলির সাংসদ। তবে, এদিন তিনি বক্তব্য রাখলেন, তা দলের মতের বিরুদ্ধে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।