ঘটনাটি ঘটেছিল ২০১৭ সালের ১০ মে। ২০১৯ সালে ওই মামলা বিধাননগর এমপি-এমএলএ আদালতে স্থানান্তরিত করা হয়। সেই মামলায় সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়কে একাধিকবার হাজিরার নোটিশ পাঠানো হলেও তিনি হাজিরা দেননি। তারই পরিপ্রেক্ষিতে বিধাননগর এমপি-এমএলএ আদালত সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে। সোমবার সেই মামলায় হাজিরা দিতে বিধাননগর এমপি-এমএলএ আদালতে আসেন সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। সেই মামলায় আজ জামিন পেলেন হুগলির বিজেপি সাংসদ।
advertisement
আরও পড়ুন: ফিরহাদ হাকিমকে 'সমর্থন' দিলীপ ঘোষের! বললেন, 'সিদ্ধান্তকে স্বাগত'! ব্যাপার কী?
সম্প্রতি অবশ্য দিলীপ ঘোষ এবং লকেট চট্টোপাধ্যায়ের মধ্যে মতান্তর দেখা যাচ্ছে বারবার। পুর নির্বাচন ধুলিসাৎ হয়েছে বিজেপি। একইসঙ্গে দলের মধ্যে ভাঙনও লেগেছে তীব্র গতিতে। বিজেপি-র এই ব্যর্থতার নেপথ্যে যেমন উঠে আসছে নেতৃত্বের অপরাগতা, তেমনি দলের অন্দরে ফাটলও অন্যতম কারণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। এই পরিস্থিতিতে সম্প্রতি লকেট চট্টোপাধ্যায়ের একটি ছোট্ট ট্যুইট নতুন করে ট্যুইস্ট তৈরি হয়েছিল। তাতেই না থেমে দলের নেতৃত্বকে পরাজয়ের দায়ও নিতে বলেন তিনি। তারই পরিপ্রেক্ষিতে পাল্টা লকেটকে আক্রমণ করে বসেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
আরও পড়ুন: দুর্গন্ধ! মা-মেয়ের এ কী অবস্থা! ঘুম ভাঙতেই পুকুরে হাড়হিম দৃশ্য দেখল মন্দিরবাজার
দলের নেতৃত্বের বিরুদ্ধে লকেটের বিষোদগারের প্রেক্ষিতে দিলীপ ঘোষ বলেন, ''কেউ যদি নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করে তার ভুল-ত্রুটি ধরে, তাহলে তাঁর দায়িত্বজ্ঞানহীনতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। কেউ যদি নিজের দায়িত্ব এড়িয়ে গিয়ে অন্যের ঘাড়ে দোষ চাপায়, সেটা তো আত্মবিশ্লেষণ নয়, সেটা তো পরচর্চা হয়ে গেল। যারা ময়দানে নেই তারা যদি এই ধরনের অভিযোগ করে, তার কোন গুরুত্ব নেই।''