বেশ কিছুদিন ধরেই ওয়াইল্ড লাইফ ক্রাইম কন্ট্রোল ব্যুরো ও ওয়াইল্ড লাইফ ক্রাইম কন্ট্রোল সেলের কাছে খবর আসছিল, একটি বড় কনসাইনমেন্ট বনগাঁ বর্ডার হয়ে বাংলাদেশ থেকে এ-দেশে ঢুকছে। ( RECONS) সেই মতই শুক্রবার রাতে বিভিন্ন জায়গায় অপেক্ষা করছিলেন সংশ্লিষ্ট দফতরের আধিকারিকরা। বনগাঁয়ে অপেক্ষারত টিম একটি বড় সাদা গাড়িকে ফলো করতে শুরু করে। বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়ের কাছে গাড়িটি ধরে ফেলেন তাঁরা। শুরু হয় তল্লাশি। গাড়ির পিছনের সিটের উপর থেকে ব্যাগবন্দি অবস্থায় উদ্ধার হয় একটি সিংহ শাবক ও তিনটি হোয়াইট হেডেড লেঙ্গুর। গাড়ির চালক-সহ ধৃত তিন। ধৃতদের নাম অসীম রহমান, অজিত আলি ও গুলাম গাউস।
advertisement
দীর্ঘক্ষণ ব্যাগবন্ধ থাকায় অসু্স্থ হয়ে পড়ে পশুরা। সল্টলেকে ওয়াইল্ড লাইফ কন্ট্রোল ব্যুরোর দফতরে তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেন পশু চিকিৎসক। সেখান থেকে তাদের নিয়ে যাওয়া হয় আলিপুর জু হাসপাতালে। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা গিয়েছে, বনগাঁ সীমান্ত দিয়ে বর্ধমানে ঢোকার পর সিংহ শাবক ও লেঙ্গুরদের পশ্চিম ভারতে পাচার করার কথা ছিল। একাধিকবার হাতবদল হয়ে সিংহ-শাবক ও লেঙ্গুরদের মুম্বইয়ে পাচার করা হচ্ছিল। মুম্বইয়ের এক ব্যবসায়ীর বাড়ি নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। সিংহ শাবকটি এক কোটি টাকায় বিক্রির কথা ছিল । ধৃতদের কাছে বেশ কয়েকটি ফোন নম্বর পাওয়া গিয়েছে। নম্বরের সূত্র ধরে খোঁজ চলছে।
ধৃতদের সঙ্গে আন্তর্জাতিক পশু পাচার চক্রের যোগ আছে বলে অনুমান ওয়াইল্ড লাইফ ক্রাইম কন্ট্রোল ব্যুরোর আধিকারিকদের।তাদের এদিন বারাকপুর আদালতে তোলা হয়।