রাজাবাজার এলাকায় এখন বইয়ের আনন্দগাড়ি। মঙ্গল, বৃহস্পতি কিংবা শনিবার বিকেলবেলায় বাড়ির দরজায় হাজির এই বইয়ের গাড়ি। ভ্যান রিকশায় সাজানো বইয়ের সারি। বলা ভাল ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরী। বস্তিবাসী কচিকাঁচাদের পড়ার অভ্যাস তৈরি করতে এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার অভিনব উদ্যোগ।
রোশনি ইউথ গ্রুপের এই মোবাইল লাইব্রেরির উদ্যোক্তা সাহিনা জাবেদ । স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার তিনি প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। কলকাতার প্রথম মোবাইল লাইব্রেরির প্রতিষ্ঠাতা কালিদাস বাবুর চিন্তাভাবনার থেকেই তাঁর এই অনুপ্রেরণা, বলেন সাহিনা। প্রত্যক্ষভাবে কালিদাসবাবুর সাহায্য পেয়েছেন তিনি।
advertisement
আরও পড়ুন : স্ত্রীর চিতাভস্মে রোজ গোলাপ রেখে নতজানু হয়ে আমৃত্যু প্রেম নিবেদন বৃদ্ধের
স্কুলের পাঠ্য বইয়ের বাইরে নানা রকম বইয়ের সমাহার। রবীন্দ্রনাথের "জুতা আবিষ্কার" থেকে শুরু করে বাংলা হিন্দি ইংরেজি নানা রকমের বই। আপাতত ৫০০ বই দিয়ে যাত্রা শুরু। বাড়ির কাছে চলন্ত গাড়ি থেকে বই নিতে কচিকাঁচাদের উৎসাহ চোখে পড়ার মতো।
রেজিস্টারে নাম ফোন নাম্বার লিখে বই নিয়ে যাওয়ার সুযোগ থাকছে ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরি থেকে। বই পড়ার পাশাপাশি উৎসাহী কচিকাঁচাদের সামনে গল্প বলার আসর বসাতে চাইছে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা।ঠেলাগাড়ি থেকে এভাবে বাড়ির কাছে বই পেয়ে আনন্দে আত্মহারা কচিকাঁচারা।
আরও পড়ুন : শরীরে একাধিক ফ্র্যাকচার নিয়ে শয্যাশায়ী কনে, হাসপাতালে এসে বিয়ে করলেন বর
স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কর্মীদের পরবর্তী পদক্ষেপ গল্প বলার আসর। করোনার সময় থেকে বই পড়ার অভ্যাস কমেছে। একটু দূরে ঈশ্বরচন্দ্র পাঠাগার। আরও একটু দূরে রামমোহন লাইব্রেরি। লাইব্রেরি থেকে বই এনে পড়ার অভ্যাসটাই চলে গিয়েছে।
কলকাতা পুরসভার ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের হরিজন বস্তি , খাল-পাড়, কসাই বস্তি, যোগি পাড়া ও হরিনাথ দে রোড-সহ রাজাবাজারের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরছে অভিনব লাইব্রেরি। ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরির মাধ্যমে বই পড়ার অভ্যাসকে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ রাজাবাজারের স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার।