টালা সেতু বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে গত কয়েক মাস ধরে বিটি রোড দিয়ে আসা ভারী পণ্যবাহী গাড়িকে শহরে ঢুকতে বেগ পেতে হয়েছিল। ওই লেভেল ক্রসিং চালু থাকায় সেখান দিয়ে ভারী পণ্যবাহী গাড়ি যাতায়াত করতে পারছিল।ওই লেভেল ক্রসিংয়ের এক দিকে রয়েছে কাশীপুরের ব্রজদয়াল সাহা রোড। অন্য প্রান্তে বাগবাজারের দিকে রয়েছে প্রাণনাথ মুখার্জি রোড। লেভেল ক্রসিংয়ের মধ্যে শুধু চক্ররেলই চলাচল করে। লেভেল ক্রসিংয়ের জন্য ওই ইয়ার্ডের দু’টি লাইনকে আপাতত কাশীপুর সেতুর আগেই শেষ করে দেওয়া হয়েছে। ওই রাস্তাকে গাড়ি চলাচলের উপযুক্ত করে তোলার জন্য রেলের কয়েকটি গুদাম ভাঙতে হয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন: মা হতে চেয়েছিলেন অর্পিতা মুখোপাধ্যায়, সায় দিয়েছিলেন পার্থ, চার্জশিটে বিস্ফোরক দাবি ইডির
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, লেভেল ক্রসিংয়ের রাস্তা তৈরির জন্য ইয়ার্ডের মধ্যে থাকা চারটি বাড়ির বড় অংশও ভাঙা পড়েছে। রেল সূত্রের খবর, ওই ইয়ার্ডের মধ্যে প্রায় দু’শো মিটার নতুন রাস্তা তৈরি করতে হয়েছে। ভারী গাড়ি চলাচল করলে যাতে রাস্তার কোনও ক্ষতি না হয় তার জন্য প্রায় ১৮ ইঞ্চি পুরু সিমেন্টের ঢালাই করা হয়েছে। তিন লেনের ওই রাস্তা দিয়ে দু’দিকেই গাড়ি চলাচল করতে পারে। রেল গেট ওঠানামা করার জন্য গেটম্যানের ঘরও তৈরি করা হয়েছে।
ব্রজদয়াল সাহা রোড এবং প্রাণনাথ মুখার্জি রোডের প্রায় তিনশো মিটার রাস্তা নতুন করে তৈরি করেছে পুরসভা। ওই লেভেল ক্রসিং দিয়ে পণ্যবাহী গাড়ি ছাড়া ছোট গাড়ি, অটো চলাচল করতে পারে। ওই লেভেল ক্রসিং চালু থাকায় চিৎপুর লকগেট উড়ালপুলের গাড়ির দিক পরিবর্তন করানো হতে পারে। সে ক্ষেত্রে বর্তমানে ওই উড়ালপুল দিয়ে বাগবাজারের দিক থেকে বিটি রোডের দিকে গাড়ি চললেও পরে তার পরিবর্তন করে শহরমুখী করা হতে পারে। আবার কাশীপুর রোড দিয়ে বরাহনগরের দিকে একমুখী গাড়ি চালানো হতে পারে।
ওই লেভেল ক্রসিং দিয়ে গাড়ি চলাচল করায় কাশীপুর রোডের উপরে চাপ বাড়বে। তাই লেভেল ক্রসিং পার করার পরে কাশীপুরমুখী ভারী গাড়িকে ব্রজদয়াল শাহ রোড, স্ট্র্যান্ড ব্যাঙ্ক রোড দিয়ে সর্বমঙ্গলা ঘাট হয়ে কাশীপুর রোডে পাঠানো হতে পারে। তাতে কে সি চ্যাটার্জি রোডের উপরে চাপ বাড়তে পারে। তবে এ সব নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি বলে পুলিশ সূত্রের খবর। সেতু ভাঙার পরে বাকি সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।