#কলকাতা: পরপর দু'দিন মেট্রো চালিয়েও মিলছে না যাত্রী। তাই কমতে পারে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর সংখ্যা। আনলক অধ্যায়ে সোমবার থেকে কলকাতায় চালু হয়ে গিয়েছে মেট্রো পরিষেবা। দমদম থেকে কবি সুভাষের পাশাপাশি মেট্রো চলছে সেক্টর ফাইভ থেকে সল্টলেক স্টেডিয়াম পর্যন্তও। যাত্রী না হওয়ায় মেট্রো চালানো আদৌ লাভজনক কিনা তা নিয়ে উঠছে একাধিক প্রশ্ন। সূত্রের খবর, ২০ মিনিটের বদলে মেট্রো চালানো হবে ৩০ মিনিট অন্তর৷ একই সঙ্গে দুর্গা পুজোর আগেই চেষ্টা চলছে ফুলবাগান মেট্রো স্টেশন চালু করে দেওয়ার। মেট্রো রেলের জেনারেল ম্যানেজার মনোজ যোশী জানিয়েছেন, শীঘ্রই ফুলবাগান নিয়ে আবেদন জানানো হচ্ছে কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটির কাছে। যাতে পরিষেবা দ্রুত চালু করে দেওয়া যায়।
advertisement
এখন প্রশ্ন উঠছে, ইস্ট-ওয়েস্টের এই অবস্থা কেন? বিশেষজ্ঞদের মতে, ১৪ ফ্রেব্রুয়ারি চালু হয় ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো। লকডাউনের জন্যে বন্ধ হয়ে যায় মার্চ মাসের তৃতীয় সপ্তাহ থেকে। ফলে এই মেট্রো নিয়ে সে ক্ষেত্রে প্রচার হয়নি। ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো স্টেশন মাত্র ছয়। যে যে দুরত্বে আর যে এলাকায় স্টেশন, তা ব্যবহারকারীর সংখ্যা অনেক কম। সল্টলেক এলাকার যাঁরা বাসিন্দা, তাঁরা মেট্রোর বদলে ব্যবহার করেন নিজেদের গাড়ি। যাঁরা নিজেদের গাড়ি ব্যবহার করেন না, তাঁরা অটো, টোটো, মোটর রিক্সা ব্যবহার করেন। সল্টলেক এলাকায় সেক্টর ফাইভ থেকে মেট্রো রুট ধরে একাধিক রুটের বাস পাওয়া যায়। ফলে বাস মিলছে। যার অনেক ভাড়া কম। ইস্ট ওয়েস্ট মেট্রোর অধিকাংশ যাত্রী, তাঁরা আইটি সেক্টরে কর্মরত। এখন আইটি সেক্টরে ওর্য়াক ফ্রম হোম চলছে। ফলে যাত্রীদের যাতায়াতের সংখ্যা ভীষণ কম।
করুণাময়ী থেকে সেন্ট্রাল পার্ক পর্যন্ত দুই স্টেশনের মধ্যে একাধিক সরকারি অফিস আছে। যদিও সেখানে যাঁরা চাকরি করেন তাঁরা শহরতলির। লোকাল ট্রেন চলছে না। ফলে তাঁরা একেবারে বাসেই যাতায়াত করেন। ফুলবাগান মেট্রো স্টেশন চালু করার অনুমতি দিয়েছিল কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটি। যদিও ১৬ সেপ্টেম্বর মধ্যে চালু না হলে ফের কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটির অনুমতি নিতে হবে। ফুলবাগান মেট্রো স্টেশন চালু হলে শিয়ালদহ লোকাল ট্রেনের যাত্রীরা এই মেট্রো ব্যবহার করতে পারবেন।মেট্রো মনে করছে আইটি সেক্টর চালু হোক। ফুলবাগান দুর্গা পুজোর আগে চালু করা হবে। তাতে এই প্রকল্প লাভবান হবে। রেল বোর্ডের প্রাক্তন কর্তা সুভাষ রঞ্জন ঠাকুর জানিয়েছেন, "এখন যতটা পথে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো চলছে তার দু'দিকে কোথাও টার্মিনাল নেই। ফলে যাত্রীরা যাবেন কোথায়। তাই কেউ এই ৪ কিমি পথ ব্যবহার করছেন না।"