আগামী ৩০ অক্টোবর রাজ্যের চার কেন্দ্রে উপনির্বাচন (West Bengal By Election)৷ এ দিন চার কেন্দ্রের জন্য প্রার্থী ঘোষণা করল বামেরা৷ সিপিএমের (CPIM) তরফে ট্যুইট করে জানানো হয়েছে, শান্তিপুর এবং খড়দহ কেন্দ্রে লড়বে তারা৷ আর দিনহাটা এবং গোসাবায় লড়বে দুই শরিক ফরওয়ার্ড ব্লক এবং আরএসপি৷
আরও পড়ুন: ভবানীপুরে বড় হার, বাকি ৪ উপনির্বাচনে কেমন করবে BJP? জানিয়ে দিলেন দিলীপ ঘোষ
advertisement
শান্তিপুরে সিপিএম প্রার্থী হচ্ছেন সৌমেন মাহাতো, খড়দহে লড়ছেন দেবজ্যোতি দাস৷ অন্যদিকে দিনহাটায় ফরওয়ার্ড ব্লক প্রার্থী হচ্ছেন আব্দুর রউফ৷ আর গোসাবায় আরএসপি-র প্রার্থী অনিল চন্দ্র মণ্ডল৷
গতকালই ভবানীপুরে নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর উপনির্বাচনের জন্য তৃণমূল প্রার্থদের নাম ঘোষণা করে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ বিজেপি এবং কংগ্রেস এখনও প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেনি৷
চার কেন্দ্রের মধ্যে দিনহাটা এবং শান্তিপুরে জয়ী হয়েছিল বিজেপি৷ খড়দহ এবং গোসাবায় জিতেছিল তৃণমূল৷ দিনহাটা এবং শান্তিপুরের জয়ী দুই বিজেপি প্রার্থী নিশীথ প্রামাণিক এবং জগন্নাথ সরকার সাংসদ পদ ধরে রাখতে বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেন৷ আর খড়দহ ও শান্তিপুরের জয়ী তৃণমূলের কাজল সিনহা ও জয়ন্ত নস্করের মৃত্যুতে আসন দু'টি খালি হয়েছে৷
ভবানীপুরে প্রার্থী না দিয়েই কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্ব বুঝিয়ে দিয়েছিল, জাতীয় স্তরে বিজেপি-কে পরাস্ত করার স্বার্থেই এখন বামেদের থেকে তৃণমূলের সঙ্গে সুসম্পর্ক রেখে চলতে অনেক বেশি আগ্রহী তারা৷ সেই বার্তা দিতেই ভবানীপুরে উপনির্বাচনে প্রার্থীও দেয়নি কংগ্রেস৷ তাছাড়া বামেদের সঙ্গে জোট করেও বিধানসভা নির্বাচনে খাতা খুলতে পারেনি কংগ্রেস৷ ফলে জোট করার যৌক্তিকতা নিয়ে সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির মতো কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বও প্রশ্ন তুলেছিল৷
ভবানীপুর, সামশেরগঞ্জ এবং জঙ্গিপুরে বামেদের জমানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে৷ চার কেন্দ্রের উপনির্বাচনে এই লজ্জা এড়ানোই এখন বাম দলগুলির কাছে বড় চ্যালেঞ্জ৷
