প্রসঙ্গত, সোমবার শিলিগুড়িতে অশোক ভট্টাচার্যর বাড়ি গিয়েছিলেন বিজেপি নেতারা। যদিও এই সাক্ষাৎকে অশোক ভট্টাচার্য বলছেন নেহাতই 'সৌজন্য'। কিন্তু অন্দরমহলের সূত্র বলছে, বিজেপি বঙ্গভঙ্গ চক্রান্ত করছে। যা সম্পূর্ণ অগণতান্ত্রিক আচরণের প্রকাশ৷ যার সাহায্য চাইতেই নাকি গেরুয়া শিবির গিয়েছিল তাঁর বাড়িতে।
আরও পড়ুন : কলকাতায় দেখা গেল সূর্যগ্রহণ! মিস করেছেন? দেখুন বছরের শেষ সূর্যগ্রহণের সেই দৃশ্য...
advertisement
বার বার ডিসেম্বর নিয়ে বিজেপির ধোঁয়াশা সৃষ্টি করা নিয়েও এদিন সরব হন কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, "সিপিএমের বি-টিম বিজেপি। বামেদের ভোট তো বিজেপিতেই গিয়েছে৷ ২০২১ সালে ভোট কাটার চেষ্টা হয়েছিল। সেই চক্রান্ত ব্যর্থ হয়েছে। ভোটে হেরে গিয়েছে তারা। ডিসেম্বর ডিসেম্বর করে বিজেপি কর্মীদের মনোবল বাড়াতে চাইছে নেতৃত্ব।"
একইসঙ্গে বাংলা ভাঙার চক্রান্ত করছে বলেও বিজেপির বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়েছে তৃণমূল। তৃণমূলের দাবি, "বাংলা ভাগের পাশাপাশি কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল তারা চাইছেন। বিহার ও উত্তরবঙ্গের কিছু জেলা নিয়ে। এটা নিয়ে মদত চাইতেই অশোক বাবুর বাড়িতে বিজেপি নেতারা গিয়েছিলেন।" কুণাল ঘোষ বলেন, "তৃণমূল কংগ্রেস বাংলার একমাত্র শক্তি৷ সেটা ২০২১ সালে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। বামেরা বলুক সৌজন্যের মোড়কে এই চক্রান্ত বৈঠক নিয়ে ও বঙ্গভঙ্গ নিয়ে তাদের অবস্থান জানাক।"
অশোক ভট্টাচার্য সিনিয়র, বর্ষীয়ান নেতা। উনি তো আর বৈঠকের বিস্তারিত বিষয় বাইরে বলে দেবেন তা নয়। তবে অশোক বাবু তাদের স্ট্যান্ড কী জানিয়ে দিক। পাহাড় থেকে সাগর একটাই বাংলা। কোনও প্ররোচনায় আমরা বাংলা ভাগ হতে দেব না৷ বিজেপির নেতা আগে বিবৃতি দিয়ে বলুক, তারা বাংলা ভাগ চান না। কিন্তু ওনারা সেটা তো বলছেন না। ভোটে হারার পর প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে এই বাংলা ভাগের কথা বলছেন৷ যদি বাংলা ভাগের বিষয় মিথ্যা হয়, তাহলে ওনারা বিবৃতি দিয়ে জানাক।"
কুণাল বলেন, "উত্তরের জেলা থেকে সম্পূর্ণ রিপোর্ট নেওয়া হচ্ছে। বিভিন্ন তথ্য আমরা নিচ্ছি। বিজেপি বাংলা ভাগের কোনও প্রচেষ্টা করছে কিনা সেটা আমরা জানতে চাইছি। দীর্ঘ ৩৪ বছরের বাম অপশাসন ছিল। সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ আর অপশাসন চাইছেন না। তারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ বাংলা চায়৷ আমরা ভীত নই। আমরা শুধু বলছি, এমন কিছু বৈঠক হলে আসল উদ্দেশ্য ও গোপন বোঝাপড়া জানা যায়।"