২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে সংযুক্ত মোর্চার অধীনে বামফ্রন্ট, কংগ্রেস এবং ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট (আইএসএফ)। সেই সুবাদে হাড়োয়া আসনে লড়াই করেছিল নওশাদ সিদ্দিকির দল আইএসএফ। এ বারের উপনির্বাচনে কংগ্রেসের মতোই বামফ্রন্টের সঙ্গে জোট হয়নি তাদেরও। তাই এই আসনে প্রার্থী দেয় আই এস এফ। বামফ্রন্টের আশা, আরজি কর-কাণ্ডের জেরে এ বারের ভোটে ভাল ফল করবে তারা। তৃণমূল এবং বিজেপির মতো বামফ্রন্টও স্থানীয় প্রার্থীর উপর জোর দিয়েছে।
advertisement
অন্যদিকে কংগ্রেস এই ছয় বিধানসভা উপনির্বাচনে প্রার্থী দিয়ে দিল।৬ আসনে বিধানসভার উপনির্বাচনে আগামী ১৩ নভেম্বর। মনোনয়ন জমার দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ অক্টোবর। সূত্রের খবর, রবিবার রাত পর্যন্ত উপনির্বাচনে জোট নিয়ে বাম এবং কংগ্রেস কেউ কারোর সঙ্গে আলোচনা করেনি।অন্যদিকে আই এস এফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী বলেন, হাড়োয়াতে লড়াই করবে ISF, হাতে এখনও সময় আছে কংগ্রেস আর সিপিএমের দূরত্ব মেটাক। প্রার্থী প্রত্যাহারের সুযোগ আছে। কংগ্রেসের সঙ্গে কথা বলে প্রার্থী দিক।
আইএসএফ মাদারিহাট ও তালড্যাংরা নিয়েও ভেবেছিল। কিন্তু সেখান থেকে বৃহত্তর স্বার্থের কথা ভেবে সরে আসে।২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচন থেকে এ রাজ্যে বাম-কংগ্রেস জোট গড়ে লড়াই শুরু করেছিল। সেবার ৪৪টি আসন বিধানসভায় জয়ী হয় কংগ্রেস। বামেরা জয়ী হয় ৩২টি আসনে। বিরোধী দলনেতা হন কংগ্রেসের আব্দুল মান্নান। তার জোট সঙ্গী ছিলেন তৎকালীন সিপিএমের পরিষদীয় দলের নেতা সুজন চক্রবর্তী। যদিও তার পরে আর নির্বাচনী লড়াইয়ে সেভাবে সাফল্য পায়নি বাম- কংগ্রেস জোট৷ ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেস এবং আইএসএফ-এর সঙ্গে জোট বেঁধেও শূন্যে নেমে আসে বাম-কংগ্রেস৷বাম কংগ্রেস জোট ভেঙে যাওয়াকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি তৃণমূল কংগ্রেস। তাদের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, বিরোধীদের নিয়ে ভাবছি না।
সামাজিক থেকে ব্যক্তি পেশা সবেতের উন্নয়ন হয়েছে। বাম প্রত্যাখ্যাত হবে। বামেরা তৃতীয় হবে৷ আর কংগ্রেস? নতুন সভাপতি সিপিএমের প্রমোটার, বন্ধু, দালাল তকমা নিতে চাইবেন না৷ কারণ উনি ছাত্র আন্দোলন থেকে উঠে এসেছেন৷ ফলে নতুন সভাপতি সিপিএমের বন্ধনীভুক্ত নেতা হবেন না।
Abir Ghosal