দুর্গা পুজোর ক্ষেত্রে গাইডলাইন তৈরি করে দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। সেই মোতাবেক রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় পুজোর অনুষ্ঠান পালন করা হয়েছে। এবার লক্ষ্মী পুজোর অনুষ্ঠানেও সেই ধারা বজায় রাখা হচ্ছে। পুজোর ভোগ রান্না করার সময়ে একাধিক ব্যক্তি কাছাকাছি চলে আসেন। দুরত্ব বজায় রাখলেও, ঝুঁকি নিতে রাজি নন কেউই। সেই কারণেই পিপিই পড়ে লক্ষ্মী পুজোর ভোগ রান্না করলেন মহিলারা। খিচুড়ি, ৫ রকমের ভাজা, পায়েস, চাটনি সবটাই রান্না করলেন মহিলারা পিপিই পোশাক পড়ে৷ শুধু ভোগ রান্না করা নয়, পিপিই পরেই মহিলারা মন্ডপে দিলেন আল্পনা। পুজোর অনুষ্ঠানে যারা উপস্থিত ছিলেন, তাদের পুজোর ভোগ বিতরণ করা হয়েছে পিপিই পড়ে৷ এর পাশাপাশি যাদের ভোগ বিতরণ করা হয়েছে, তাদের দেওয়া হয়েছে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও মাস্ক।
advertisement
প্রতিবার সিমলা বিবেকানন্দ স্পোর্টিং ক্লাবের ভোগ রান্না করেন লতিকা মন্ডল। এবার পিপিই তিনি নিজে সারাক্ষণ পরে না থাকলেও, পাশের মেয়েরা অবশ্য পড়ে আছে পিপিই। লতিকা দেবী জানাচ্ছেন, এমনিতেই ঠাকুরের ভোগ রান্নার সময় কথা বলা হয় না। সবটাই ইশারায় করা হয়। এবার আর তার ওপর মাস্ক, স্কারফ সব ব্যবহার করতে হচ্ছে। ইশারায় বোঝাতে অসুবিধা হচ্ছে কিন্তু কিছু করার নেই আমাদের। লতিকা দেবীকে সাহায্য করছেন মন্দিরা ঘোষ ও মৌপিয়া মন্ডল। দু'জনেই জানাচ্ছেন, বাড়ির পুজো ও পাড়ার পুজো দুটোতেই আমরা কাজ করেছি। তবে এই অভিজ্ঞতা আমাদের হয়নি। আসলে এখন শুনছি বাতাসেও এই রোগের জীবাণু ভেসে বেড়ায়। তাই পিপিই পড়েই এই কাজ করছি। আশা করি আমরাও আক্রান্ত হব না। আমাদের দ্বারাও কেউ আক্রান্ত হবে না। পিপিই পড়ে দেওয়া হয়েছে আলপনা। এমনকি পুরোহিত মশাইয়ের জন্যেও আয়োজন ছিল পিপিই পোশাকের। তবে তিনি আর ওটা পরতে রাজি হননি৷ পিপিই'র পাশাপাশি ছিল অবশ্য স্যানিটাইজার। সেটা দিয়ে হাতশুদ্ধি অবশ্য সকলকেই করতে হয়েছে৷
আবীর ঘোষাল