TRENDING:

হায়দরাবাদ এনকাউন্টার: গুলিতে মৃত্যু ৪ অভিযুক্তের, দেশ জুড়ে উচ্ছ্বাস, ভিন্নমত আইনজীবীরা

Last Updated:

আড়াআড়িভাবে ভেঙে গেছে রাজ্যের আইনজীবী মহল

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
Arnab Hazra
advertisement

#কলকাতা: এনকাউন্টার।  ফয়সালা অন স্পট। শব্দগুলোর উচ্চারণে, মুহূর্তে  হিমশীতল স্রোত বয়ে যায় শিরদাঁড়া বেয়ে। চোখ বুজলেই ভেসে ওঠে টানটান অ্যাকশন থ্রিলার-এর জমজমাট চিত্রনাট্য। শুক্রবারের "সকাল" নিজামের শহরের সৌজন্যে বন্দী টেলিভিশন সেটে,  মোবাইলে। বেলা বাড়তেই তর্কে তুফান। তর্কের বিষয় গণধর্ষণ খুনে অভিযুক্ত চারজনের এনকাউন্টারে মুত্যু।

৪ জনেরই এনকাউন্টার মুত্যু কেন?  সংখ্যাটা ৩, ২ বা ১ হল না কেন? সময় গড়িয়েছে যত, ততই ধোঁয়াশা কাটাতে সচেষ্ট হয়েছে সাইবারাবাদ পুলিশ। সূর্য ডুবে এলেও, পুলিশের যুক্তিতে কাঁটাছেড়া থামায়নি জনতা। উল্টে  "এনকাউন্টার"৷ ময়নাতদন্ত পৌঁছে গেছে পাড়ার মোড়, চায়ের ঠেক ছাড়িয়ে রাজ্যের কোণায় কোণায়।

advertisement

আড়াআড়িভাবে ভেঙে গেছে রাজ্যের আইনজীবী মহল। একাংশ বিচারের দীর্ঘসূত্রিতাকে কাঠগড়ায় তুলে খুল্লামখুল্লা সমর্থন জানাচ্ছে এনকাউন্টার তত্ত্বকে। বলে রাখা ভালো, এই অংশের আইনজীবিদের সংখ্যা কম। শতাংশের বিচারে যা ১৫-২০। দলে ভারি অন্য অংশের যুক্তি গণতান্ত্রিক দেশে আইনের শাসন থাকবে, এটাই দস্তুর। তাঁদের যুক্তি, আইনের চোখে সবার সমান অধিকার রয়েছে। অভিযোগকারীর পাশাপাশি অভিযুক্তদেরও সমান অধিকার রয়েছে ।

advertisement

আইনজীবী জয়ন্ত নারায়ণ চট্টোপাধ্যায়ের মতে, ‘চার অভিযুক্ত একসঙ্গে পালিয়ে  যাবার মতলব কীভাবে আঁটল?  ঘটনার ১০ দিনের মাথায় পুনর্নির্মাণের প্রয়োজন কেন হল? ভোরবেলাতে পুনর্নির্মাণের জন্য কেন যাওয়া? গুলি সবার শরীরের নিচের অংশে কেন লাগল না?’ আইনজীবী বিক্রম বন্দ্যোপাধ্যায় বলছেন, ‘দেশে হাইপ্রোফাইল মামলা। পুলিশের সামনে চারজন তাদের বন্দুক ছিনিয়ে নিতে গেল। হ্যান্ডকাফ কোথায় ছিল? এমন জঘন্য অপরাধের দুষ্কৃতীদের জন্য ঢিলেঢালা নিরাপত্তা কেন থাকবে?’ আইনজীবী রিনা বন্দ্যোপাধ্যায় বলছেন,‘পুরোটাই প্ল্যানমাফিক করেছে পুলিশ। কোন প্রমাণ যাতে আর না থাকে তাই চারজনকে এনকাউন্টার করা হয়েছে। এর তদন্ত হওয়া উচিত।’ আইনজীবী আশিস কুমার চৌধুরীর মতে,‘এনকাউন্টার প্রশ্নে সুপ্রিম কোর্ট একটি গাইডলাইন নির্দিষ্ট করে দিয়েছে আগেই । প্রাথমিক ভাবে মনে হচ্ছে, সেই গাইডলাইন মেনে পুলিশ কাজ করেনি।’

advertisement

মানবাধিকার কর্মীরা সুর চড়িয়ে বলছেন সরাসরি খুনের মামলা রুজু করে তদন্ত হওয়া উচিত। মানবাধিকারকর্মী রঞ্জিত শূর বলছেন,‘রাজ্যে কিষেণজি লালমোহন টুডু, শশধর মাহাতোদের হায়দরাবাদের কায়দায় এনকাউন্টার করে মারা হয়েছে। এনকাউন্টার ভয় আমাদের রাজ্যেও রয়েছে।’ আমার আইনজীবী রিনি ভদ্র বলছেন, ‘পেশায় আইনজীবী হলেও আমি একজন মহিলা। জঘন্য অপরাধের দোষীদের এমন দৃষ্টান্তমূলক এনকাউন্টার মৃত্যু-কে স্বাগত জানাই।’ কালের নিয়মে একসময় হয়তো থেমে যাবে এই বিতর্ক।

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
লালগোলাতে রাজরাজেশ্বরী রূপে পূজিতা হন মা কালী! দেওয়া হয় ইলিশের ভোগ
আরও দেখুন

হায়দরাবাদ এনকাউন্টারের রুটিন তদন্ত এবং বিচারও হবে। ভবিষ্যতে, কোনও নিরাপরাধ বিচারের আগেই যেন শাস্তি না পায় তার সুনিশ্চিতকরণ চাইছেন আইনজীবীরা।

বাংলা খবর/ খবর/কলকাতা/
হায়দরাবাদ এনকাউন্টার: গুলিতে মৃত্যু ৪ অভিযুক্তের, দেশ জুড়ে উচ্ছ্বাস, ভিন্নমত আইনজীবীরা