তবে এই মামলায় সিবিআইয়ের অগ্রগতি যে একেবারে গভীরে রয়েছে সেটা বারবার টের পাওয়া যাচ্ছিল আসামী পক্ষের আইনজীবীদের শুনানিতে। পার্থ চট্টোপাধ্যায় শান্তি প্রসাদ সিনহা, অসীম সাহা মোট পাঁচজন আসামির বয়স ৭০ কিংবা তার অধিক। এদের কেউ মন্ত্রী ,কেউ আবার উচ্চ পদে চাকুরে ছিলেন। শিক্ষা দফতরের বিভিন্ন পদ অলংকৃত করেছিলেন।
আরও পড়ুন - কোভিড অতিমারিতে প্রয়াত স্ত্রীর ২.৫ লক্ষ টাকার সিলিকন মূর্তি বাড়িতে বসালেন প্রৌঢ়
advertisement
আরও পড়ুন - মুম্বই পারল না! লন্ডনে নিয়ে যাওয়া হবে ঋষভ পন্থকে! অস্ত্রোপচার হবে দু'বার
তবে শিক্ষা দফতরের সেই পদগুলির অপব্যবহার করে , স্কুল শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির সঙ্গে তারা জড়িয়ে ছিলেন বলে অভিযোগ। বৃহস্পতিবার অভিযুক্তদের পক্ষের কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়ের আইনজীবী আদালতের কাছে অভিযোগ করেন, তার মক্কেল কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় সহ অন্যান্যদের বয়স ৭০ কিংবা তার বেশি। এই প্রচণ্ড শীতে তাঁদেরকে মেঝেতে বিছানা করে ঘুমোতে হচ্ছে। তাঁরা কেউ ওই ভাবে জীবনযাপনে অভ্যস্ত নয়। ওই আইনজীবী আদালতের কাছে আবেদন করেন যে, তাঁর মক্কেলসহ অন্যান্যদের জন্য জেলে যেন একটি করে খাটের ব্যবস্থা করা হয়।
বিচারক আবেদন শোনার পর জানান, তাঁর ক্ষমতা সীমাবদ্ধ। যদি জেলের নিয়মে খাট দেওয়ার ব্যবস্থা থাকে। তাহলে সেই খাটের জন্য সুপারিশ করতে পারেন। বিষয়টি আবেদন আকারে জানানোর পরেই আদালত কক্ষে বেশ গুঞ্জন শুরু হয়।জেলে আসামীদের খাটের জন্য আবেদন ,এর আগে কোন আইনজীবী করেছেন কিনা!কেউ মনে করতে পারছেন না ।তবে এসপি সিনহার আইনজীবী সঞ্জয় দাশগুপ্ত দাবি করেন, তাঁর মক্কেল সহ অন্যান্যদের উপযুক্ত স্বাস্থ্য পরীক্ষা থেকে আরম্ভ করে খাবার। কোন কিছুই ঠিকঠাক ব্যবস্থা করছে না জেল কতৃপক্ষ। সে কারণে জেল সুপারকে আদালতে ডেকে পাঠানো হোক সেটা দাবি করেন সঞ্জয় দাশগুপ্ত।
SHANKU SANTRA