কসবায় টেকনিক্যাল এভিডেন্সে নজর পুলিশের। সিসি ক্যামেরা-মোবাইলের ভিডিও-কল রেকর্ডে নজর। প্রযুক্তিগত তথ্যপ্রমাণের সঙ্গে মিলছে ছাত্রীর বয়ান! পুলিশের দাবি, টেকনিক্যাল এভিডেন্স ও বয়ান মিলছে। সিসি ক্যামেরায় গেট থেকে টেনে নিয়ে যাওয়ার ফুটেজ। মিলেছে জবরদস্তি ইউনিয়ন রুমে নিয়ে যাওয়ার ফুটেজ। ধৃতদের মোবাইলে আগেই মিলেছে নির্যাতনের ভিডিও। নির্যাতনের দেড় মিনিটের ভিডিও মিলেছে বলে দাবি পুলিশের। ধৃতদের কল রেকর্ডও মিলে যাচ্ছে ছাত্রীর বয়ানের সঙ্গে।
advertisement
মনোজিৎ ফোন করে জায়েব-প্রমিতকে ডাকে বলে অভিযোগ। ছাত্রীর অভিযোগের সঙ্গে মিলছে কল রেকর্ড। সার্ভিস প্রোভাইডারদের দেওয়া তথ্য যাচাইয়ের পর দাবি পুলিশের। ২৫ জুনের ৭ ঘণ্টার সিসি ক্যামেরা ফুটেজে নজর পুলিশের। ২৫ জুন ইউনিয়ন রুমে যাওয়া পড়ুয়াদেরও জিজ্ঞাসাবাদের ভাবনা।
বেশ কয়েকজন পড়ুয়াকে জিজ্ঞাসাবাদের ভাবনা। কলেজের থেকে পড়ুয়াদের নাম-ঠিকানা-ফোন নম্বর চেয়েছে পুলিশ। সোমবারের মধ্যেই কলেজের থেকে তথ্য তলব পুলিশের। তথ্য মিললে আজই কয়েকজন পড়ুয়াকে জিজ্ঞাসাবাদের সম্ভাবনা।
অন্যদিকে, কসবা-কাণ্ডে কোনও অভিযুক্তই ক্লোজ-সার্কিট ক্যামেরার ফুটেজ অ্যাকাসেস করতে পারেননি এবং কোনও অভিযুক্তর ক্যামেরার ফুটেজে কোনও অ্যাকসেস ছিল না বলে পুলিশকে নিশ্চিত করে কলেজ কর্তৃপক্ষ।
অভিযুক্তদের ফোনের কল-ডিটেলস থেকে পাওয়া তথ্যের সঙ্গে নির্যাতিতার বয়ান মিলে গিয়েছে। এই ঘটনার ক্ষেত্রে পারিপার্শ্বিক তথ্যপ্রমাণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছিলেন তদন্তকারী আধিকারিকরা! এবার নির্যাতিতার বয়ানের সঙ্গে মিলে যাচ্ছে টেকনিক্যাল এভিডেন্স-ও।
কসবায় কলেজে ধর্ষণকাণ্ডে ৬ আধিকারিকের সিট গড়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। শনিবার রাতেই ঘটনার পুনর্নির্মাণ করেছিলেন তদন্তকারীরা। নির্যাতিতাকে ঘটনাস্থলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। পুলিশ সূত্রে খবর, দু’ঘণ্টার বেশি সময় ধরে ঘটনার পুনর্নির্মাণ হয়েছে কলেজ ক্যাম্পাসে। রবিবার নির্যাতিতা এবং অভিযুক্তদের ডিএনএ-র নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পাশাপাশি, সিটে আরও চার জনকে যুক্ত করা হয়েছে, তাঁদের মধ্যে এক জন মহিলা সাব ইনস্পেক্টর।
রবিবার, কসবা কাণ্ডের জেরে অভিযুক্ত প্রমিত মুখোপাধ্যায়কে নিয়ে চ্যাটার্জী হাট এলাকায় তার বাড়িতে আসেন তদন্তকারীরা। সকাল ১১ টার সময় প্রমিতকে সঙ্গে নিয়ে প্রবেশ করে পুলিশ। ঘটনার দিনের পরণের জামাকাপড়, অন্তর্বাস, জুতো-সহ সব বাজেয়াপ্ত করে পুলিশ। সেদিন সে কখন বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল, কখন ঘরে ফিরেছিল, সব বিষয়ে পরিবারের সামনে বসিয়ে জিজ্ঞাসবাদ করা হয়।
আরও পড়ুন:আবার সেই এয়ার ইন্ডিয়া বিমান! ককপিট থেকে ‘মেসেজ’, কলকাতায় জরুরি অবতরণ
অন্যদিকে, কসবার ঘটনায় নির্যাতিতাকে জোর করে কলেজ গেট থেকে ভিতরে নিয়ে যাওয়ার যে অভিযোগ উঠেছিল, সিসিটিভি ফুটেজে মিলেছে সেই দৃশ্য। গেট থেকে জোর করে নির্যাতিতাকে ভিতরে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল বলেই পুলিশ সূত্রে খবর। নির্যাতিতা যখন অসুস্থ বোধ করে পালিয়ে যাওয়ার জন্য বেরিয়ে এসেছিলেন, তখন দেখেন মেন গেট তালা বন্ধ অবস্থায়। সেই সময়ে জাইব এবং প্রমিত নির্যাতিতাকে জোর করে ইউনিয়ন রুমের দিকে নিয়ে গিয়েছে, এই অভিযোগ ছিল এফআইআরে। সত্যতা যাচাইয়ে সিসিটিভি ফুটেজ দেখা হয়েছে। তাতে এই দৃশ্য রয়েছে বলেই পুলিশ সূত্রে খবর।