এই প্রকল্প এলাকা মূলত তিনটি গ্রাম পঞ্চায়েতকে (Birbhum News) ঘিরে। হিংলো গ্রাম পঞ্চায়েত, ভাঁড়কাটা গ্রাম পঞ্চায়েত ও ডেউচা গ্রাম পঞ্চায়েত (Deucha Pachami)। এর মধ্যে হিংলো গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীনস্থ হল ২১টি গ্রাম। ভাঁড়কাটা গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীনস্থ হল ৩৪টি গ্রাম আর ডেউচা গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীনস্থ হল ২৮টি গ্রাম। আর এই সব গ্রামের মধ্যেই দেওয়ানগঞ্জ ও হরিণসিংহা হল এপিসেন্টার। এই দুটি এলাকা থেকে শুরু হবে কয়লা উত্তোলনের কাজ৷ আর সেই পরিকল্পনাই শুরু করেছে রাজ্য সরকার।
advertisement
ডেউচা পাচামি প্রকল্প (Deucha Pachami) এলাকায় প্রবেশ করলেই নজরে পড়বে একদিকে সোনালি ধান ভর্তি মাঠ৷ আর একদিকে কানের যন্ত্রণা ধরিয়ে দেওয়া ক্রাশারের বেল্টের আওয়াজ। যেখানে প্রতিনিয়ত ভাঙা চলছে পাথর। বড় বড় লরি করে সেই পাথর চলে যাচ্ছে নানা প্রান্তে। আর এর মাঝে মাঝেই রয়েছে সুন্দর ছবির(Birbhum News) মতো সাজানো গ্রাম। আর এই সব গ্রামের বাসিন্দারাই অধীর আগ্রহে জানতে চাইছেন কিভাবে গড়ে উঠবে প্রকল্প?
আরও পড়ুন: ‘দেরি না করে চলে আসুন’, শ্রাবন্তীকে 'স্বাগত' বার্তা মদন মিত্রের! যা লিখলেন...
কথা হচ্ছিল দেওয়ানগঞ্জের যতন মুদীর সাথে। যতন বলছে, "সবটাই টিভিতে দেখছি আর খবরের কাগজে পড়ছি। আসলে কী হচ্ছে সেটা কোনও না কোনও সরকারি আধিকারিক আমাদের সাথে এসে কথা বলে জানাক। প্রয়োজনে জন শুনানি করুক। সেখানেই গ্রামবাসীরা তাদের সিদ্ধান্ত জানাবে।"
একই বক্তব্য হরিণসিংহা গ্রামের আদিবাসী নেতা বাবুলাল টুডুর। তিনি বলছেন, "শিল্প হলে নিশ্চয়ই ভালো। কিন্তু আমরা জোর করে জমি কাড়তে দেব না। আমরা কী ক্ষতিপূরণ পাচ্ছি। আমাদের কী কী দেওয়া হবে। কারা কারা চাকরি পাবেন তা নিশ্চিত করে জানাক রাজ্য সরকার৷ এর পরেই আলাপ আলোচনার মাধ্যমে সবটা এগোবে।" রাজ্য সরকার যে সিঙ্গুর-নন্দীগ্রামের মতো জোর করে জমি অধিগ্রহণ করবে না তা পরিষ্কার করে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
কোনও শিল্প গড়ে তোলার জন্যে চাই উপযুক্ত পরিকাঠামো গড়ে তোলা। ডেউচা-পাচামি ঘিরে সেই কাজ শুরু করেছে রাজ্য সরকার। ইতিমধ্যেই রাস্তা সম্প্রসারণ ও মেরামত করার জন্যে টেন্ডার ডেকেছে পূর্ত দফতর। হরিণসিংহা গ্রামে বানানো হচ্ছে দুটি ৩৩ ও ১১০ কেভি'র বিদ্যুৎ সাবস্টেশন। এছাড়া পানীয় জলের সমস্যা মেটানো ও স্বাস্থ্য কেন্দ্র গড়ে তোলার জন্যে আলোচনা শুরু হয়ে গিয়েছে। রাজ্যের সদিচ্ছার বিষয়টি কানে এসেছে আদিবাসী গাঁওতার, সম্পাদক রবীন সোরেনের৷ রবীন অবশ্য জানিয়েছেন, "প্রকল্প করার প্রধান শর্ত হল সিঙ্গুর-নন্দীগ্রামের মতো জোর করে জমি অধিগ্রহণ নয়৷ পরিবার পিছু কিভাবে চাকরি বণ্টন হবে তা নিশ্চিত করে বলা হোক৷ মাঝি থান, জাহের থান যথাযথ ভাবে করা হোক। সর্বোপরি সরকার এসে সরাসরি কথা বলুক আমাদের সঙ্গে।"