গাছ কাটা আগেই নিষিদ্ধ করে দিয়েছিল হাইকোর্ট। সোমবার তার মেয়াদ বাড়ল আরও আটচল্লশি ঘণ্টা। পাশাপাশি মামলাটি গ্রিন ট্রাইব্যুনালে পাঠিয়ে দিয়েছে হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।
৩১ নম্বর জাতীয় সড়কে, এনজেপি - কোচবিহার রেলপথের ওপর উড়ালপুল নির্মাণের দাবি দীর্ঘদিনের। কিন্তু গাছ কাটার সিদ্ধান্তে প্রথম থেকেই আপত্তি জানান পরিবেশপ্রেমীরা। উড়ালপুল তৈরির জন্য গাছ কাটা নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা করে দুই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। এদিন রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত আদালতে জানান,
advertisement
- গাছকাটার বৈধ অনুমতি রয়েছে রাজ্যের
- সেই অনুমতিপত্র জনস্বার্থ মামলার আবেদনেও সংযুক্ত রয়েছে
- এরপরও কিসের ভিত্তিতে জনস্বার্থ মামলা?
ভুল তথ্য দেওয়ার জন্য জনস্বার্থ মামলাকারীদের কেন জরিমানা ধার্য করা হবে না? এদিন সেই প্রশ্নও তোলেন রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনালের। নির্দেশনামায় রাজ্যের এই বক্তব্যটি উল্লেখ করারও আবেদন করেন তিনি। ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ নামায় রাজ্যের বক্তব্য উল্লেখ করে দেয় আদালত। তবে জনস্বার্থ মামলাটিকে গ্রিন ট্রাইব্যুনালের পূর্বাঞ্চলীয় শাখায় স্থানান্তর করে হাইকোর্ট। মঙ্গলবার এস ওয়াংদির বেঞ্চে মামলার শুনানি।
হাইকোর্টের রায়ে খুশি লাটাগুড়ির আন্দোলকারীরা। হাইকোর্টের রায়ে বুধবার পর্যন্ত গাছ কাটা বন্ধ। এখন লাটাগুড়ি উড়ালপুলের ভবিষ্যত কি? তার সিদ্ধান্ত নেবে পরিবেশ আদালতই।