কলকাতা পৌরসভার মেয়র পরিষদ দেবাশীষ কুমার জানান , টাউন হলে সংগীতের একাল ও সেকাল নিয়ে একটি সংগ্রহশালা তৈরি হবে। যেখানে রিসোর্স রিসার্চ স্টাডি সেন্টার তৈরি করবে কলকাতা পুরসভা। খড়গপুর আই আই টির মতো সংস্থার কারিগরি সহায়তায় তৈরি হবে এই অত্যাধুনিক গবেষণা কেন্দ্র ।
আরও পড়ুন- দুর্ভোগ আসছে, বাংলার জেলায়-জেলায় বৃষ্টি! কী বলছে হাওয়া অফিস?
advertisement
শহরের সৌন্দর্যায়নের থেকেও শহর বাঁচাতে বেশি তৎপর কলকাতা পুরসভা। ১০০ কিলোমিটার দূরে সমুদ্র ধীরে ধীরে গ্রাস করতে পারে কলকাতাকে। এমন আতঙ্ক বিজ্ঞানীদের মন্তব্যে। সে কথা স্মরণ করিয়ে মেয়র পরিষদ দেবাশীষ কুমার বলেন, ২৫ হাজার গাছ লাগানো হয়েছে। কাউন্সিলরদের অনুরোধ করব, সৌন্দর্যায়নের পাশাপাশি বৃক্ষরোপণের উপর বেশি জোর দিতে।
পুরসভার অধিবেশনে ৯৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মৌসুমী দাস প্রশ্ন তোলেন, বসত বাড়ির নিচে বেআইনিভাবে চলছে রেস্তোরাঁ ও কফি শপ। অনেক ক্ষেত্রেই ফুটপাত দখল করে চলছে ব্যবসা। মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানান, ৪১ টি ব্যবসার ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হয়। নির্দিষ্টভাবে অভিযোগ থাকলে কলকাতা পুরসভার লাইসেন্স বিভাগ খতিয়ে দেখবে এবং বিপদজনক ব্যবসা হলে অবশ্যই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে। উল্লেখ্য এই ৯৩ নম্বর ওয়ার্ডে কিছুদিন আগে এক কফিশপে তোলাবাজিকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়েছিল এলাকা।
কলকাতা পুরসভার ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে রবীন্দ্র সরণি, কালীকৃষ্ণ ঠাকুর স্ট্রিট এবং যদুনাথ মল্লিক রোডে বেআইনি পার্কিং নিয়ে প্রশ্ন তোলেন ইলোরা সাহা। কাউন্সিলরের এই প্রশ্নের জবাবে দেবাশীষ কুমার বলেন, ওই এলাকায় কোনও পার্কিং নেই। বেআইনিভাবে পার্কিং হলে পুলিশ এবং পরিবহন দপ্তর বিষয়টি দেখবে। স্থানীয় থানার ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন কাউন্সিলর ইলোরা সাহা।
২৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রাজীব সিনহার প্রশ্নের জবাবে ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ জানান, খুব শিগগিরই বায়োমেট্রিক অ্যাটেনডেন্স-এর দিকে জোর দেবে কলকাতা পৌরসভার স্বাস্থ্য বিভাগ।
আরও পড়ুন- ৫০০০ পড়ুয়াকে স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড দিলেন মুখ্যমন্ত্রী, তুললেন 'হুমকি' প্রসঙ্গ
কলকাতা পুরসভার নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সুদর্শনা মুখোপাধ্যায় প্রশ্ন তোলেন গরিহাট বাজারের দালালচক্র নিয়ে। মেয়র ফিরহাদ হাকিম পরিষ্কার জানিয়ে দেন এই ধরনের বেআইনি কাজ চলতে পারে না। কলকাতা পুরসভা কে কেন কেউ দুর্বল না ভাবেন। কলকাতা পুলিশের সহযোগিতায় পুরসভার বাজার বিভাগ এই বিষয়ে অবশ্যই হস্তক্ষেপ করবে।
এদিনের অধিবেশনে বিরোধী বিজেপির একজন কাউন্সিলার ও উপস্থিত ছিলেন না। কংগ্রেসের দুজন কাউন্সিলর এর মধ্যে একজন কাউন্সিলর উপস্থিত ছিলেন মাত্র। বামেদের একজন সিপিএম ও একজন সিপিআই কাউন্সিলর উপস্থিত ছিলেন। বিরোধী কাউন্সিলরদের গরহাজির আই রীতিমতো উষ্মা প্রকাশ করেন চেয়ারপারসন মালা রায়। তিনি বলেন মাসে একটি দিন মাত্র অধিবেশন। বিরোধীদের অনুপস্থিতি খুবই হতাশাজনক। এদিন অধিবেশনের মধ্যেই শাসকদলের নতুন কাউন্সিলর অনেকেই মোবাইল অন রাখেন এবং নিজস্বী ও ভিডিও তুলতে থাকেন। এই ঘটনায় কাউন্সিলরদের সতর্ক করেন চেয়ারপারসন মালা রায়।