বিধানসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্য সরকারি অফিসে ৭০ শতাংশ উপস্থিতি কার্যকর করার পর, বিধানসভার কমিটি মিটিং ও আনুষাঙ্গিক কাজ না করলে বিধায়কদের ভাতা দেওয়া নিয়ে সমস্যা হতে পারে। সেই অসুবিধা দূর করতেই কমিটি মিটিংয়ের ভাবনা। লক ডাউন বিধি মেনে বৈঠক করতে হলে ভিডিও কনফারেন্সিং এর মাধ্যমে করাই একমাত্র রাস্তা। কিন্তু, প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণেই পরিকল্পনা বিশ বাঁও জলে।
advertisement
বিধায়কদের তথ্য প্রযুক্তিতে আরো সড়গড় করে তুলতে দিয়েছিল বিধানসভার তরফে ল্যাপটপ উপহার দেওয়া হয়। করোনা সংক্রমণের আবহে ভিডিও কনফারেন্সিং-এর তোড়জোড় শুরু করতে গিয়ে খোঁজ পড়ে সেই ল্যাপটপের। কিন্তু, অনেক বিধায়কই বিধানসভা সচিবালয়কে জানিয়েছেন, ল্যাপটপ তাঁরা ব্যবহার করেন না। প্রযুক্তিগত বিষয়ে সড়গড় না হওয়ার জন্যই তাঁরা তা ব্যবহার করতে পারেন না বলে স্পষ্টই জানিয়ে দিয়েছেন বিধায়করা। ঘনিষ্ট মহলে অনেক বিধায়কই স্বীকার করেছেন, পড়ে থেকে কেন নষ্ট হয়, তাই অনেকেই ল্যাপটপ কাউকে দিয়ে দিয়েছেন। এখন তাঁর হদিশ পাওয়া সম্ভব নয়। ফলে, বাড়ি বসে ল্যাপটপে ভিডিও কনফারেন্সে অংশ নেওয়া তাঁদের পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না।
বিধানসভায় মোট ২৬টি স্ট্যান্ডিং কমিটি ও ১৫টি হাউস কমিটি রয়ছে। প্রত্যেক বিধায়ক কমবেশি তিনটি কমিটির সদস্য। কমিটি মিটিং বাবদ বিধায়করা মাসে কমবেশি ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা ভাতা পান। মিটিং না হলে, তা অনিশ্চিত হয়ে পড়বে। এদিকে, বিধানসভার বর্ষাকালীন অধিবেশন অনিশ্চিত। নিয়ম অনুযায়ী, দু'টি অধিবেশনের মধ্যে সর্বাধিক ৬ মাসের ব্যবধান থাকতে পারে। সেই হিসেবে, সেপ্টেম্বর পর্যন্ত হাতে সময় রয়ছে বিধানসভার অধিবেশনের। দিল্লিতে সংসদ ও অন্যান্য রাজ্য বিধানসভাগুলি তাদের অধিবেশন নিয়ে কোন পথে এগোয়, তা দেখে পা ফেলতে চান স্পিকার বিমান বন্দোপাধ্যায়।
ARUP DUTTA