#কলকাতা: লকডাউন শিথিল হয়ে আনলক-১ চালু হলেও শহরের কনটেইনমেন্ট জোনগুলিতে কি সব নিয়ম কানুন মানা হচ্ছে? জানতে চায় লালবাজার। সে জন্য শহরের কনটেইনমেন্ট জোনগুলিতে এ বার সর্বক্ষণ নজরদারি চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে চলবে সেই নজরদারি। সূত্রের খবর, প্রাথমিকভাবে এক মাসের জন্য সেইসব এলাকায় সিসিটিভি বসানো হচ্ছে। পরিস্থিতির উপর নির্ভর করবে ডিজিটাল নজরদারি বাড়ানো হবে কিনা।
advertisement
লালবাজার সূত্রে খবর, প্রত্যেক ডিভিশনের ডিসিকে বলা হয়েছে তাঁদের এলাকার কনটেইনমেন্ট জোনগুলিতে নজরদারির জন্য কতগুলি সিসিটিভি ক্যামেরা বসানোর প্রয়োজন তার তালিকা পাঠাতে হবে লালবাজারে। তালিকা পাওয়ার পরই শুরু হয়ে গিয়েছে ক্যামেরা বসানোর কাজ। লালবাজার থেকেই কন্টেইনমেন্ট জোন এলাকায় সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে নজরদারি চালানো হবে। প্রয়োজনে স্থানীয় থানাও নজর রাখতে পারবে কনটেইনমেন্ট জোন এলাকার পরিস্থিতির উপরে। নিয়ম না মানলে সেই এলাকায় প্রয়োজনে কড়া ব্যবস্থাও নিতে পারবে পুলিশ।
সোমবার থেকে শহরে বেশিরভাগ দোকান, অফিস চালু হয়েছে। সেক্ষেত্রে শহরে লোকজনের যাতায়াতও বাড়বে। তাই কনটেইনমেন্ট জোনই লালবাজারের কাছে অন্যতম চিন্তার কারণ। তাই ওই এলাকাগুলিকে সবসময় 'নজরে' রাখতেই এই ব্যবস্থা লালবাজারের। প্রাথমিকভাবে প্রায় ৫০০ সিসিটিভি ক্যামেরা বসানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রত্যেক থানা এলাকাতেই বসবে এই ক্যামেরা। কনটেইনমেন্ট জোন ছাড়াও ঘিঞ্জি এলাকা, বাজার এবং যে এলাকায় লোকসমাগম বেশি পরিমাণে হয়, সেই এলাকাগুলিতে নজর রাখা হবে এই ক্যামেরার মাধ্যমে।
সিসিটিভি ক্যামেরা বসানোর দায়িত্বে থাকা সংস্থার এক কর্মী বলেন, "প্রত্যেক জায়গায় আমরা গড়ে দুই থেকে তিনটি ক্যামেরা বসাচ্ছি যাতে এক সঙ্গে গোটা এলাকায় নজরদারি চালানো যায়। আমাদের বলা হয়েছে এক মাসের জন্য বসানো হচ্ছে এই ক্যামেরা। থানা থেকে আমাদের যে জায়গাগুলোতে ক্যামেরা বসাতে বলা হচ্ছে সেখানেই ক্যামেরা বসানো হচ্ছে। পাশেই রেকর্ডিং সেন্টার করা হচ্ছে। সেখানে রেকর্ড হবে ভিডিও। পাশাপাশি লালবাজার থেকেও দেখা যাবে।"