প্রতিবছরের মত এবারও রীতি মেনেই পুজো হবে লেক কালীবাড়িতে। পুজো চলাকালীন যাতে একাধিক দর্শনার্থীর ভিড় না হয় তার জন্য কলকাতা পুলিশের তরফেও ইতিমধ্যেই ওয়াচ টাওয়ার করা হয়েছে। মূলত পুলিশের তরফে এই ওয়াচটাওয়ারের মাধ্যমেই নজরদারি চালানো হবে যাতে সামাজিক দূরত্ব বজায় থাকে দর্শনার্থীদের মধ্যে।
প্রত্যেক বছর এই নির্দিষ্ট রীতিনীতি মেনে পূজা হয় দক্ষিণ কলকাতার লেক কালীবাড়ি তে। সাধারণত নিয়ম হচ্ছে ঘটের জল গঙ্গা থেকে তোলা হয় না তার বদলে লেক থেকেই ঘটে জল তুলে এনে পুজো করা হয়। শুধু তাই নয়, পুজোতে রয়েছে একাধিক নিয়ম নীতি। শুক্রবার লেক কালীবাড়িতে বসে থাকা এক পুরোহিত জানাচ্ছিলেন " শনিবার কালী পূজা শুরু হবে রাত দশটা থেকে। চলবে রবিবার ভোর পাঁচটা থেকে সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত।" তবে বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে দর্শনার্থীদের জন্য কিছু নিয়ম বদলেছে।একদিকে যেমন ফুল দিয়ে অঞ্জলি দেওয়া যাবে না। তেমন কোনওভাবেই মন্দিরের সামনে জমায়েত করা যাবে না। অর্থাৎ অন্যান্য দিন মা কালীকে যেমন সামনে থেকেই দর্শন করতে পারতেন এবং প্রণাম করে দর্শনার্থীরা চলে যাচ্ছিলেন শনিবার অন্তত সেই ছবিটা ধরা পড়বে না লেক কালীবাড়িতে। তার বদলে রাস্তা থেকে প্রণাম করেই বেরিয়ে যেতে হবে।
advertisement
শুধু তাই নয়, মন্দিরের আশপাশে থাকা ডালার দোকানগুলো অনেক দূরে সরিয়ে দেওয়া হবে। এ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে এক ডালা বিক্রেতা বলেন " প্রত্যেকবারই আমাদের মন্দিরের সামনে থেকে কিছুটা দূরে সরিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু পয়লা বৈশাখ এবং অক্ষয় তৃতীয়ার বাজার আমাদের ভাল যায়নি। আশা করছি কালীপুজোর সময় বাজার অনেকটাই ভালো হবে।" অন্যদিকে শনিবার বিকেলে পর থেকেই কার্যত ভিড় নিয়ন্ত্রণ করা হবে লেক কালীবাড়িতে। অন্তত এমনটাই খবর পুলিশ সূত্রে। মন্দির কমিটির তরফে জানা গিয়েছে মূলত যারা পুজো দেওয়ার জন্য মিষ্টি নিয়ে আসবেন তা গ্রহণ করা হবে ৷ কিন্তু তার পরবর্তীকালে কোনও প্রসাদ দেওয়া হবে না মন্দিরের তরফে। যদিও শনিবারে কালীপুজোর সামগ্রিক পরিকল্পনা নিয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি বলেই মন্দির কমিটি জানিয়েছে।
সোমরাজ বন্দ্যোপাধ্যায়