“যেতে দাও, যেতে দাও, গেল যারা…
তুমি যেয়ো না, তুমি যেয়ো না,
আমার বাদলের গান হয়নি সারা…”
প্রায় শত বছর আগে, ১৯২৫ সালে রচিত এই গানকে রাজনৈতিক পরিপ্রেক্ষিতে ব্যবহার করে কটাক্ষ করেন তিনি।
বিধানসভায় আজকের অধিবেশন ছিল উত্তেজনায় ঠাসা। স্পোর্টস ইউনিভার্সিটি বিল নিয়ে আলোচনার শুরুতেই হইচই বেঁধে যায়। বিজেপির বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ যখন বক্তব্য রাখতে ওঠেন, তখনই শাসক দলের বিধায়করা বাধা দিতে শুরু করেন।
advertisement
‘যেতে দাও, যেতে দাও,’ বিধানসভায় ফের ওয়াকআউট বিজেপির, অধ্যক্ষের কটাক্ষে রবীন্দ্রসংগীত!
শাসক দলের অভিযোগ, বিরোধীরা প্রতিদিন নিজেদের বক্তব্য রেখেই ওয়াকআউট করে থাকেন, ফলে আলোচনায় কোন ধারাবাহিকতা থাকে না। সেই কারণেই তাঁদের বক্তব্যে বাধা দেওয়া হবে বলে মত প্রকাশ করেন তৃণমূল বিধায়করা।
এই পরিস্থিতিতে বিজেপির চন্দনা বাউড়ি নেমে আসেন ওয়েলে, শুরু হয় তুমুল তর্কাতর্কি। ওয়েলের সামনে দেখা যায় অরূপ বিশ্বাসকে বিজেপি বিধায়কদের সঙ্গে যুক্তভাবে বাকবিতণ্ডায় জড়াতে। মহিলা তৃণমূল বিধায়কেরাও ওয়েলের দিকে এগিয়ে যান, যা নজিরবিহীন বলে মনে করা হচ্ছে। হাততালি দিয়ে তাঁরা ঘিরে ধরেন ওয়েল।
এদিকে স্পিকার শঙ্কর ঘোষকে উদ্দেশ্য করে বলেন, “আপনাকে জানতে হবে, গতকালের ঘটনায় হাউস আহত হয়েছে। নিয়মানুযায়ী আপনাদের অধিবেশনে থাকতে হবে। আপনি থাকবেন সেটা বলুন।”
তবে তার পরেও পরিস্থিতি উত্তপ্ত হতে থাকে। অধ্যক্ষ এক পর্যায়ে চেয়ার ছেড়ে উঠে দাঁড়ান এবং দুই পক্ষকেই শান্ত হতে বলেন। তবুও বিতণ্ডা অব্যাহত থাকে।
শেষ পর্যন্ত ওয়াকআউট করে বিধানসভা কক্ষ ছেড়ে যান বিজেপি বিধায়করা। ফলে বিল পেশ আটকে যায়।
পুরো পরিস্থিতিতে আবারও রাজ্য রাজনীতির উত্তেজনা চড়ে ওঠে, এবং বিধানসভার সুস্থ আলোচনার পরিবেশ ব্যাহত হয় বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।