কুণাল ঘোষের বিরুদ্ধে মিঠুন চক্রবর্তী’র সেই ১০০ কোটির মানহানির মামলায় মামলায় আজ গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অরিন্দম মুখোপাধ্যায়। নির্দেশে স্পষ্ট বলা হয়েছে আপাতত মিঠুন ও তাঁর পরিবারকে জড়িয়ে কোনও বিতর্কিত মন্তব্য নয়। শুধু তাই নয়, আগামী ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত কোনও বিতর্কিত মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকতে হবে কুণাল ঘোষকে। সেইসঙ্গে মামলায় নোটিশ সার্ভ করতে হবে তাঁকে। এমনটাই নির্দেশ বিচারপতি অরিন্দম মুখোপাধ্যায়ের। মামলার পরবর্তী শুনানি ডিসেম্বর মাসে।
advertisement
প্রসঙ্গত, এই মামলায় মিঠুনের অভিযোগ, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকে কুণাল উদ্দেশ্যমূলক ভাবে তাঁর পাশাপাশি তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে অসত্য ও কুরুচিকর মন্তব্য করেছেন। অভিযোগ, মিঠুন চিটফান্ড কেলেঙ্কারিতে জড়িত বলে মন্তব্য করেন কুণাল। মিঠুন তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন শুধুমাত্র নিজেকে বাঁচানোর জন্য, এমন মন্তব্যও তিনি করেছেন বলে অভিযোগ। বিজেপি নেতা মিঠুনের অভিযোগ, তাঁর ছেলে ধর্ষণ মামলার সঙ্গে যুক্ত বলে প্রচার করেছেন কুণাল, যা সঠিক নয়। এমনকি, তাঁর স্ত্রীও আর্থিক লেনদেনে জড়িত বলে কুণাল মন্তব্য করেছেন বলেই অভিযোগ তুলেছেন মিঠুন।
আরও পড়ুন: চুম্বকের মতো টেনে আনে ‘সাপ’…! এই চার ‘গন্ধ’ বিষধরের জন্য ‘অমৃত’ সমান, এখনই দূর করুন!
মিঠুনের বক্তব্য, কুণালের ওই সব মন্তব্য সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন এবং উদ্দেশ্যমূলক। এর ফলে তাঁর সম্মান এবং সামাজিক মর্যাদা ক্ষুণ্ণ হয়েছে। মিঠুন জানান, তিনি রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ, পদ্মভূষণ ও দাদাসাহেব ফালকে সম্মান জয়ী। কুণালের এমন সব অসত্য মন্তব্যের জন্য তাঁকে অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছে। এমনকি, তাঁর এখনকার কাজের উপরেও তার প্রভাব পড়েছে। এর ফলে পেশাগত ভাবে তিনি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এই মর্মে মামলা দায়ের করে হাইকোর্টে মিঠুনের আবেদন, ক্ষতিপূরণ হিসাবে তাঁকে ১০০ কোটি টাকা দেওয়া হোক। সেই সঙ্গে ওই ধরনের মন্তব্য থেকে কুণালকে বিরত থাকার নির্দেশ দিক আদালত।