এদিন কুণাল ঘোষ প্রথম ট্যুইট করেন লকেট চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে (Kunal Ghosh vs Locket Chatterjee)। তিনি লেখেন, "ভবানীপুরে প্রচারে না আসার জন্য তারকা প্রচারক লকেট চট্টোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা। বিজেপির অনেক মিনতি সত্ত্বেও আপনি প্রচার করেননি। আপনি যেখানেই থাকুন বন্ধু হিসাবে আপনার সাফল্য কামনা করি। এখানেই না থেমে কুণাল আরও লেখেন, এই ছোট্ট পৃথিবীতে আপনার জীবনে রাজনীতির সেই শুরুর দিনগুলো আবার ফিরে আসুক।"
advertisement
ছোট্ট টুইট, কিন্তু নির্বিষ নয়। কুণাল যেন বলতে চাইছিলেন বিজেপিতে লকেটের পথ আদৌ কুসুমাস্তীর্ণ নয়। বরং সেই উত্তরণের দিনগুলি ফিরে আসতে পারে অন্য কোনও সিদ্ধান্ত নিলে। সেই সিদ্ধান্ত কি দলবদল? জল্পনা চাউর হতেই আসরে নামেন লকেট। উত্তরাখণ্ডে সহকারী প্রভারী হিসেবে কাজ করা লকেট পাল্টা লেখেন, "আপনার উচিত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যাতে ভবানীপুরের না হেরে যায় সে বিষয়ে মনোনিবেশ করা।"
কটাক্ষ আর পাল্টা উত্তরে জমজমাট হয়ে ওঠে নেটদুনিয়া। কুণাল ঘোষ আবার উত্তর ফেরান সেই ট্যুইটের। এবার সরাসরি ফোরহ্যান্ড কুণালের। ট্যুইটারে তিনি লকেটকে লেখেন, "দুর্ভাবনা করবেন না বড় মার্জিনে জয় পাবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আপনিও মনে মনে তাই-ই চান। কিন্তু তবু আপনাকে দলের পক্ষ নিয়ে লিখতে হচ্ছে। তবে তারপরেও আপনি যে বিজেপি প্রার্থীর নামটা উচ্চারণ করলেন না তার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। কাহি পে নিগাহে কাহি পে নিশানা, ওয়েলডান।"
প্রশ্নটা হল, লকেট নিজেই বলেছিল, শেষ দু দিনের প্রচারে থাকবে। তাহলে মত বদল কেন? আর, এই বদলটা হল, কয়েকদিন আগে, লকেটের তৃণমূলে যোগ দেওয়া নিয়ে জল্পনার পরেই। আজ এই বাদানুবাদের মধ্যে দিল্লিতে বসে লকেটকে সংবাদমাধ্যমকে ডেকে বলতে হয়, এর কোনও ভিত্তি নেই। সূত্রের খবর, এ কথা বলার পরেও, নাড্ডা ডেকে পাঠান লকেটকে। একান্তে কথা বলেন। যদিও, লকেটের দাবি, নাড্ডা ডেকেছিলেন উত্তরাখন্ড নিয়ে কথা বলতে।
রাজনৈতিক মহলের একাংশের মনে করে লকেটকে ভবানীপুরে প্রার্থী হতে বলেছিল দল। লকেট শুধু সেই প্রস্তাব সবিনয়ে প্রত্যাখ্যানই করেননি। পাশাপাশি ভবানীপুর নিয়ে বিজেপির একাংশে যেমন উচ্চাশা রয়েছে অন্য আরেকটা অংশ মনে করে এ লড়াইয়ের ফল অনেক আগে থেকেই স্থির হয়ে রয়েছে। কুণাল যেন বুঝিয়ে দিতে চাইছেন লকেট সেই দ্বিতীয় শিবিরের লোক। আর কাটা ঘায়ে নুনের ছিটে দিতে প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়ালের নাম না নেওয়াটাকে সামনে রাখছেন কুণাল ।