কুণাল ঘোষের কথায়, “এটা একটা ফ্লপ অভিযান। এর কোনও জনভিত্তি নেই, মানুষের সমর্থন নেই এবং ইস্যু নেই। শুধুমাত্র পরিকল্পনা ছিল প্ররোচনা দিয়ে, গন্ডগোল করে, অস্থিরতা তৈরি করে, কোনওভাবে একটি অশান্তি তৈরি করার প্রেক্ষিত। পুলিশ প্রশাসন তা ব্যর্থ করে দিয়েছে। সাধারণ মানুষ একেবারেই সমর্থন করেনি। এককথায় বিজেপির এদিনের অভিযানকে একেবারেই দিশেহারা অভিযান আখ্যা দিয়েছেন কুণাল ঘোষ।
advertisement
আরও পড়ুন: দিলীপ বললেন 'শেষ', সুকান্ত তখনও ভিজছেন পথে! নবান্ন অভিযানে অব্যাহত গেরুয়া সংঘাত
কুণালের কথায়, "বিজেপি ইট, পাথর, অশান্তি, পুলিশের গাড়িতে আগুন, সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করা… এগুলিই করেছে। এই বিজেপির কোনও জনভিত্তি নেই।” বিজেপির সঙ্গে বামেদের অভিযানের তুলনা টেনে কুণাল ঘোষ বলেন, “বিজেপির থেকে বামপন্থীদের কর্মসূচি বা ছেলেমেয়েদের স্পিরিট ও ইউনিটি ছিল অনেক ভাল।” যদিও এটি তাঁর ব্য়ক্তিগত মত বলেই জানান কুণাল ঘোষ।
শুভেন্দু অধিকারীকে ‘আলুভাতে মার্কা নেতা’ বলে আক্রমণ করেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। মঙ্গলবার বিজেপির নবান্ন অভিযানের মিছিলে যোগ দেওয়ার আগেই পুলিশের হাতে আটক হয়ে যান রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। আটক হন সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় এবং বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি রাহুল সিংহও। শুভেন্দু আটক হওয়ার পরেই সাংবাদিক বৈঠক করেন কুণাল।
তিনি বলেন, ‘‘শুভেন্দু অধিকারী পালিয়ে গেলেন। লালবাজারে বসে বলছেন আইপিএসগুলোকে ভেতরে ঢোকাব। তারপর আমাদের এক শীর্ষ নেতার কথা বলছেন। এর থেকে বোঝা যাচ্ছে এজেন্সিগুলো বিজেপি নেতাদের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। একটা ষড়যন্ত্র চলছে। আদালতের এটা নজরে আনা উচিত। তিনি আরও বলেন, ‘‘দিলীপ ঘোষ বলেছিলেন বাধা দিলে রাস্তায় বসতে হবে। শুভেন্দু তো নিজেই গিয়ে পুলিশের গাড়িতে উঠে বসলেন। একটা আস্ত আলুভাতে।’’