#কলকাতা: ফের ভিডিও বার্তা শোভন-বৈশাখীর। কখনও নাম করে আবার কখনও নাম না করে এ বার তাঁদের নিশানায় কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। আক্রমণ রত্নাকেও (Ratna Chatterjee)। শুক্রবার ভিডিও বার্তায় বৈশাখী (Baishakhi Banerjee) বলেছেন, 'টিএমসি’র মুখপাত্র নয়, ওঁনার কথাবার্তা শুনে মনে হচ্ছে উনি এখন রত্নাদেবীর মুখপাত্রে পরিণত হয়েছেন'। শোভন-বৈশাখীর সাম্প্রতিক মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ তাঁদেরকে ‘গ্ল্যাক্সো বেবি’ আর ‘ফুলটুসি’ বলে খোঁচা দিয়ে বলেছিলেন, ‘ঘরে ঘরে পদ্ম, দিদিমণি জব্দ’ বলে ওঁরা ভোটের আগে মিছিল করেছিলেন। এখন আবার তৃণমূল নেতাদের দুয়ারে দুয়ারে ঘুরঘুর ঘুরঘুর করছেন।’
advertisement
শোভন চট্টোপাধ্যায়ের (Shovan Chatterjee) আজকের ভিডিও বার্তায় তাঁকে নিয়ে কটাক্ষকে বিশেষ আমল দিতে চান না তৃণমূলের রাজ্যের অন্যতম সাধারণ সম্পাদক কুণাল। কড়া জবাবে বললেন, ‘আমি মাথা উঁচু করে কারাবাসে ছিলাম। ওঁর মতো সিবিঅই থেকে বাঁচতে বিজেপিতে যাইনি। জেলযাত্রা এড়াতে যতই চেষ্টা করুক না কেন, জেলযাত্রা ওঁর অনিবার্য।’ কুণাল প্রসঙ্গে শোভন ভিডিও বার্তায় বলেন, ‘ও একটা প্রতারক। দীর্ঘদিন জেল খেটেছেন। ক্লাস টেন পাস। কুণাল ঘোষের কোনও বিশ্বাসযোগ্যতা নেই।’ জবাবে শোভনকে চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ করতে ছাড়েননি কুণাল। বলেন, 'কে প্রতারক শীঘ্রই বাংলার মানুষ টের পাবেন। আমার লেখা ৩৬ টা বই ওঁকে পাঠিয়ে দেব। ওঁর পড়ে বোঝার ক্ষমতা হয়তো হবে না, বান্ধবীকে দিয়ে পড়িয়ে যেন মানে বুঝে নেন।’
তাঁকে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় কুৎসা কিম্বা অপপ্রচার চালানোর পরিপেক্ষিতে বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় ও শোভন চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেবেন, তা সময়ই বলবে, জানালেন কুণাল। এ দিনের ভিডিও বার্তায় রত্না চট্টোপাধ্যায়কে ‘কুয়োর ব্যাঙ’ বলেও কটাক্ষ করেন শোভন। প্রসঙ্গত, বুধবার বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় কলকাতার পুলিশ কমিশনারকে লিখেছেন, তাঁকে নানাভাবে রত্না চট্টোপাধ্যায় হুমকি দিয়েছেন। তিনি লেখেন, ‘আমি এই ঘটনায় রীতিমতো আতঙ্কিত। উনি এখন একজন শাসক দলের নেত্রী শুধু নন, বর্তমানে বিধায়ক। প্রভাবশালী। তাই আমি একাধিক অভিযোগের বিস্তারিত এই চিঠির মারফত আপনাকে জানালাম। আশা করি আপনি আমার এই চিঠিটি গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করবেন।’ বুধবারের পর ফের শোভন চট্টোপাধ্যায় ও বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় লিখিত অভিযোগ করেছেন কলকাতা পুলিশের সিপির কাছে। ‘রত্না চট্টোপাধ্যায় খুনের মিথ্যে অভিযোগ আনতে পারে আমার বিরুদ্ধে’, এই মর্মেই কলকাতা পুলিশের সিপির দৃষ্টি আকর্ষণ করে চিঠি।