এই পেডাং থেকেই ১৯৪৩ সালের জুলাই মাসে ঐতিহাসিক ‘দিল্লি চলো’ স্লোগান দিয়েছিলেন নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু । সিঙ্গাপুরের ন্যাশনাল হেরিটেজ বোর্ড বলেছে, ‘‘দৃঢ় জাতীয় ঐতিহাসিক এবং সামাজিক তাৎপর্য বিবেচনা করে স্মৃতিস্তম্ভটিকে সংরক্ষণ করা হবে। সেইসঙ্গে সিঙ্গাপুরের স্মৃতিস্তম্ভ সংরক্ষণ আইনের অধীনে সর্বোচ্চ স্তরের সুরক্ষা প্রদান করা হবে স্মৃতিস্তম্ভটিকে।’’ মালয় ভাষায় পেডাং কথার অর্থ হচ্ছে একটি ক্ষেত্র। এটির জনসাধারণের প্রকৃতির দ্বারা আলাদা ছিল।
advertisement
আরও পড়ুন- মোদির নির্দেশে বাংলার সংখ্যালঘুদের 'মন কি বাত' বুঝতে বিশেষ অভিযানে নামছে পদ্ম শিবির
ঔপনিবেশিক আমলে জনসাধারণের জন্য কয়েকটি খোলা জায়গার মধ্যে পেডং অন্যতম বলে ন্যাশনাল হেরিটেজ বোর্ড -এর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। পেডাং সিঙ্গাপুরের ঐতিহাসিক স্থান হিসেবে পরিচয় বহন করে আসছে। যে, পেডাং হচ্ছে সেই জায়গা যেখানে নেতাজি কয়েক হাজার INA সৈন্য এবং স্থানীয় ভারতীয় জনগণের কাছে বেশ কয়েকটি ভাষণ দিয়েছিলেন। এখান থেকেই তিনি ‘দিল্লি চলো’ অভিযানের ডাক দিয়েছিলেন। স্থাপন করেছিলেন ঝাঁসির রানি রেজিমেন্টও।
ভারতকে ব্রিটিশ শাসন থেকে মুক্ত করার জন্য ভারতীয়দের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলেন। যুদ্ধ শেষ হওয়ার ঠিক আগে পেডাংয়ের দক্ষিণ প্রান্তে INA স্মৃতিসৌধ স্থাপন করেছিলেন বলে জানা যায় ইতিহাসে।
বর্তমানে INA-র জন্য পেডাং ঐতিহাসিক সাইট হিসেবে গুরুত্ব রয়ে গেছে।কুণাল ঘোষ জানিয়েছেন, ‘‘একটা ভিন্ন কাজে সিঙ্গাপুর এসেছি। আর এখানে আসব, INA স্মারকে আসব না এটা হতে পারে না। তাই এখানে এসে শ্রদ্ধা জানিয়ে গেলাম।’’
২০০ বছর বয়সী সিঙ্গাপুরের পেডাং শহরে ৭৪টি জাতীয় স্মৃতিসৌধ রয়েছে, যার মধ্যে সাতটি সৌধ ভারতীয় সম্প্রদায়ের সাথে সম্পর্কিত। ১৯৪৫ সালের ১২ সেপ্টেম্বর জাপানিদের আত্মসমর্পণের বিজয় কুচকাওয়াজ পেডাংয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছিল, যা সিঙ্গাপুরের ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে আসছে। এছাড়া ১৯৫৯ সালে প্রথম পূর্ণ নির্বাচিত আইনসভায় বিজয় সমাবেশ এখানে হয়।