তিনি আরও বলেন, ‘‘বিজেপি নেতারা বীরবাহা নিয়ে মন্তব্য করায় তো নিন্দা দেখছি না। শুভেন্দু অশালীন কথা বলেই চলেছে। তখন বিজেপির জ্ঞান কোথায় থাকে? মহিলাদের সম্মান কোথায় থাকে? সবার কুকথা বন্ধ হোক আমরা চাই। একজন ধারাবাহিক বলে যাবে। সেটা কেউ তাকিয়ে দেখবে না। আর একজনকে নিয়ে শুধু কথা হবে এটা চলবে না। দিলীপ ঘোষ -শুভেন্দু অধিকারী নিয়ে কেন কথা বিজেপি বলছে না। গতকাল, অভিষেকের ছেলেকে নিয়ে কথা বলে দিল। কুৎসিত ভাষায় কথা বলল। মিথ্যাচার করল। কই তার বেলা তো বিজেপি-শুভেন্দু ক্ষমা চাইলেন না৷’’
advertisement
আরও পড়ুন- জিও ট্রু ৫জি-র হাত ধরে এগিয়ে রয়েছে বাংলা, ভবিষ্যতে আরও এগিয়ে যাবে; অঙ্গীকার সংস্থার
কুণাল ঘোষ বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী এই প্রথম আদিবাসী এলাকায় যাচ্ছেন না? পূর্ব নির্ধারিত অনুষ্ঠানে যাচ্ছেন। মানুষের কাছে, আদিবাসী এলাকায় যাচ্ছেন। ভুল বোঝাতে গেলে আমরা বুঝে নেব৷ তৃণমূল কংগ্রেস অপপ্রচার রুখে দেবে। দ্রৌপদী মূর্মূর নাম আমার দেওয়া ২০১৭ সালে। এর পরে বিজেপি আবার বড় বড় কথা কি বলছে? কে বিজেপি? কে ব্যাপক? একটা রিজেক্টড দল। আগে বলুক, বীরবাহা হাঁসদাকে কেন বলেছে জুতোর নীচে থাকে। এটা নিয়ে আগে ক্ষমা চাক। শুভেন্দুর বক্তব্যের বিরুদ্ধে ওদের বিবৃতি কোথায়? রাস্তার রকের অসভ্যতা করেছে শুভেন্দু। দেখা দিয়ে কি রাজনীতি হয়? নন্দীগ্রামে মিথ্যাচার করতে গিয়েছিলেন তাই কালো পতাকা দেখিয়েছে মানুষ। অখিলের ভিডিও দেখালে, শুভেন্দুর ভিডিও দেখান। তাহলে নিরপেক্ষতা বোঝা যাবে।
কুণাল আরও বলেন, ‘‘বিজেপির জনভিত্তি বলে কিছু নেই৷ আগে রাজভবনকে ভাবত জ্যেঠুর বাড়ি৷ যখন তখন যেত, খেলা করত। জ্যেঠুর কোলে বসত। এখন তো তা আর হচ্ছে না। আবার এখনকার রাজ্যপাল ব্যক্তিগত অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানান না। একটা খাই খাই আছে ওদের মধ্যে। সেটাও পাচ্ছেন না। তাই এমন সব করছেন। তৃণমূলের গন্ধ পেলেই, প্রভাবশালী বলে, পুরোদস্তুর ম্যালাইন করে গ্রেফতার করে৷ দিলীপ ঘোষের দলিল পাওয়া গেলে কেন কাস্টডিতে নিয়ে জেরা হবে না। দিলীপ ঘোষও তো প্রভাবশালী। কাস্টডি নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করুক।’’