বুধবার সাংবাদিক বৈঠকে ফের সেই প্রসঙ্গ তোলেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ৷ এদিন তিনি বলেন, ‘‘রবীন্দ্রজয়ন্তীতে জয় শ্রীরাম স্লোগান হবে কেন? বিজেপির আগে উচিত রবীন্দ্রনাথের মূর্তির নীচে মাথা ঠুকে ক্ষমা চাওয়া৷’’
আরও পড়ুন প্রায় ১০ বছর পরে মামারবাড়ি গেলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, ঘুরে দেখলেন ঘরদোর, গ্রাম
কুণালের কথায়, ‘‘বহিরাগত এই জন্যেই বলা যায়৷ যারা সত্যি রামকে পুজো করে, তারা কখনও রাজনৈতিক ভাবে রামকে ব্যবহার করে না৷’’
advertisement
রবীন্দ্র জয়ন্তী উপলক্ষে গত সোমবার রাতে কলকাতায় পা রাখেন অমিত শাহ৷ তারপরে ২৫ বৈশাখ সকাল সকালই জোড়াসাঁকোয় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মূর্তিতে মাল্যদান করেন৷ তারপরে এদিন বিকেলে, পর পর ২ টি অনুষ্ঠানে যোগ দেন শাহ৷
সায়েন্স সিটি প্রেক্ষাগৃহে রবীন্দ্রনাথে জন্ম জয়ন্তী উপলক্ষে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল৷ সেই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শাহ। অনুষ্ঠানের উদ্যোক্তা ‘খোলা হাওয়া’ নামের একটি সংগঠন। এই সংগঠনের তরফে নিজেদের অরাজনৈতিক সংগঠন হিসাবে দাবি করা হলেও, সূত্রের খবর, এই সংগঠনের অনেকেই নিজ জীবনে বিজেপি নেতা৷
অভিযোগ, এদিন মঞ্চে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মরণে আয়োজিত অনুষ্ঠান চলাকালীনই দর্শকাসন থেকে ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি ওঠে৷ অস্বস্তি ঢাকতে, মঞ্চ থেকেও ‘কবিগুরু লহ প্রণাম’ কবিগুরু লহ প্রণাম ধ্বনি তোলা হয়৷
আরও পড়ুন বীরভূমে পা দিয়েই তারা মায়ের শরণে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, নিজের হাতে করলেন আরতি
গোটা ঘটনার পরে ফের বিজেপির বিরুদ্ধেই আক্রমণ শানান শাসকদলের নেতারা৷ অভিযোগ তোলেন, বিজেপির সঙ্গে যে বঙ্গীয় সংস্কৃতির কোনও যোগ নেই, তা এই ঘটনা থেকেই আরও একবার পরিষ্কার হয়ে যায়৷
এর আগে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর ১২৫তম জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে কলকাতার ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে আয়োজিত কেন্দ্রীয় সরকারি অনুষ্ঠানেও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে দর্শকাসন থেকে ‘জয় শ্রীরাম স্লোগান’ ধ্বনি উঠেছিল।