তৃণমূলের পক্ষ থেকে দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ জানিয়েছেন, ‘‘গতকালের ঘটনার সিদ্ধান্ত প্রশাসনিক। এখানে রাজনৈতিক দলের তরফে কোনও মন্তব্য নেই ৷ আমাদের দল ও সরকার গণতান্ত্রিক। একাধিক জায়গায় দীর্ঘ দিন ধরে অবস্থান, আন্দোলন চলছে। কোথাও তো কেউ তুলতে যায়নি ৷ এত বড় সরকারি নিয়োগ প্রক্রিয়া চলছে। ভুল হলে সংশোধন হবে। নিয়োগে যেন দেরি না হয়। একাংশ মামলা করে নিয়োগ প্রক্রিয়া ব্যাহত করছে। গণতান্ত্রিক আন্দোলনে আমাদের ব্যাঘাত নেই। কিন্তু আইনি ব্যবস্থা বা নির্দেশ থাকলে, প্রশাসন ব্যবস্থা নেবে। সেখানে দল যাবে না।’’
advertisement
কুণাল ঘোষ এদিন আরও বলেন, ‘‘সিপিআইএম, বিজেপি-সহ বিরোধীদের কোনও নৈতিক অধিকার আছে? ১০৩২৩ জন শিক্ষকের চাকরি গিয়েছে পড়শি রাজ্য ত্রিপুরায়। সেখানে পুলিশ আন্দোলনকারীদের ওপর লাঠিচার্জ করছে, কাঁদানে গ্যাস ছুঁড়ছে। আর এরা এখানে নাটক করতে আসছে। ওখানের পুলিশ যা আচরণ করছে, এখানে তা হয়নি ৷ সিপিআইএম আমলে তাদের হোলটাইমারদের বাড়ি বাড়ি চাকরি হয়েছে, বিজেপি শাসিত রাজ্যে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে নিয়োগ নিয়ে ৷ আর এনারা এখানে নাটক ছাড়া কিছুই করছেন না। কিছু কর্মপ্রার্থীকে প্ররোচিত করছেন, বিভ্রান্ত করছেন। তাদের ব্যবহার করে সস্তার রাজনীতি করছেন। আদালতে যান আপনারা। রাস্তায় কেন? অন্য রাজ্যের পাপ ভোলাতে এখানে সস্তার রাজনীতি করছে।
আরও পড়ুন- বঙ্গভঙ্গের চক্রান্ত হচ্ছে ! অভিযোগ কুণাল ঘোষের
শুভেন্দু, মালব্য, সেলিমের কথা বলার অধিকার নেই ৷ আগে বলুন ত্রিপুরায় কী করলেন? অন্য রাজনীতি করার জায়গা নেই। মানুষের পাশে তারা থাকতে পারেন না। মানুষের থেকে প্রত্যাখ্যাত। তাই এখানে ছেলেমেয়েদের বিভ্রান্ত করছে। অন্য সময় আদালতের রায় হলে ঠিক আছে। এখন রায় নিয়ে সমস্যা। তরুণ তরুণীদের আবেগ নিয়ে খেলবেন না।’’
কুণাল ঘোষের মতে, ‘‘কেন্দ্রীয় সরকারের দফতরের সামনে এখন চাকরি পরীক্ষায় পাশ করেও কাজ না পাওয়ারা যদি লাগাতার ধর্না শুরু করেন? রেল, ব্যাঙ্ক-সহ বিভিন্ন পরীক্ষায় পাশ করেও চাকরি পাননি অনেকে। এখনই চাকরি দাও বলে তারা যদি কেন্দ্রীয় সরকারের দফতরের সামনে বসে পড়েন। সামলাতে পারবেন তো? বছরে দু'কোটি চাকরির ভাঁওতা দিয়েছিলেন। এখন চাকরি কোথায় গেল?’’