বিজেপিতে ফের ভাঙনের ইঙ্গিতও দিলেন তিনি। কুণাল ঘোষ জানিয়েছেন , “জেপি নাড্ডার সাংগঠনিক বৈঠক গরুর গাড়ির হেডলাইট। তিনি কি জানেন যাদের নিয়ে বৈঠক করছেন তাঁরা ৩ মাস পর দলে থাকবেন কিনা? বৈঠকে যা আলোচনা হবে তা হোয়াটসঅ্যাপে পেয়ে যাব। ৮০ শতাংশ লোক বিজেপিতে থাকতে চান না। আদি, তৎকাল, পরিযায়ীদের লড়াই ছাড়া বিজেপিতে আর কিছুই নেই।”
advertisement
আরও পড়ুন- রাশিফল ৬ জুন; দেখে নিন কেমন যাবে আজকের দিন
উল্লেখ্য, চলতি সপ্তাহে আগামী ৭ ও ৮ জুন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির বাংলায় থাকার কথা। কলকাতায় তিনি বৈঠক করবেন। দু’দিনের এই সফরের চূড়ান্ত সূচি স্থির হয়নি এখনও। তবে প্রাথমিকভাবে শোনা যাচ্ছে, মূলত সাংগঠনিক পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতেই রাজ্যে আসছেন নাড্ডা। সাংগঠনিক বৈঠক করারও কথা রয়েছে তাঁর। বুথ সশক্তিকরণের অংশ হিসাবে দলের সাংসদ এবং বিধায়কদের নতুন দায়িত্বও দিয়ে যেতে পারেন বিজেপি সভাপতি।
সূত্রের খবর, নাড্ডার এই সফর থেকেই আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচন এবং ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করে দেবে বাংলা বিজেপি। একে তো বাংলা বিজেপিতে ভাঙন লেগেই রয়েছে। আবার তার উপর রয়েছে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। দু’য়ের ধাক্কায় বিধ্বস্ত বঙ্গ বিজেপি কর্মীদের মনোবল, আত্মবিশ্বাস বাড়াতে চাইছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। তাই রাজ্যে কেন্দ্রীয় নেতাদের নিয়মিত আসাটা জরুরি হয়ে পড়েছে। বিজেপির রাজ্য নেতারা চাইছেন আগামী দিনে জেপি নাড্ডা, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঘুরিয়ে ফিরিয়ে রাজ্যে আসা প্রয়োজন। সে উদ্দেশে দিল্লির নেতাদের কাছে অনুরোধও জানানো হয়েছে। যদিও জে পি নাড্ডার এই সফরকে গুরুত্ব দিতে নারাজ তৃণমূল নেতৃত্ব।
তৃণমূলের জাতীয় মুখপাত্র সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায় জানিয়েছেন, জে পি নাড্ডা আসছেন আসুন ৷ আমরা বিশ্বাস করি অতিথি দেব ভবঃ। উনি আসছেন, আসুন। তবে দয়া করে বাংলা দখল করতে আসবেন না। বাংলার মানুষ আগেই জবাব দিয়েছে আপনাদের।