তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, ‘‘আদালত রায় দিয়েছে। তার নানা দিক আছে। অনভিপ্রেত রায়। আইনজীবী-সহ এসএসসি সবটা খতিয়ে দেখছে। কিছু লোক ভুল করেছিল। ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ করে নেচে বেড়াচ্ছিল। যারা অন্যায় করেছে তাদের শাস্তি হোক। যারা যোগ্য, তাদের চাকরি হোক। কিন্তু গোটাটাকে এক বন্ধনীতে রাখার চেষ্টা করেছে কেউ কেউ। কেউ কেউ পাপ করেছে বলে আজ সকলের ভোগান্তি হল। যোগ্যদের চাকরি হোক। আমরা আশা করেছিলাম, যোগ্যদের চাকরি হবে। দেখা গেল, সকলের ক্ষেত্রে জটিল পরিস্থিতি হল। ত্রিপুরাতে বাম আমলে এমন একটি ঘটনা ঘটে। ১০ হাজারের বেশি শিক্ষকের প্যানেল বাতিল হয়। ভোটের সময় বলে অনেকে এটা নিয়ে কুৎসা করবে। যারা যোগ্য তাদের কী হবে? আইনি খুঁটিনাটি দেখতে হবে। বিরোধীরা নানা সময় বাধা দিচ্ছে। সরকার সব সাবধানতা রেখে কাজ করবে। যারা অন্যায় করেছে তাদের এক বিচার। আর যারা যোগ্য তাদের অনিশ্চয়তায় ফেলে দেওয়া এটা দুর্ভাগ্যজনক। যে বা যারা অপকর্ম করেছে তাদের বিরুদ্ধে আগে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত ছিল। তারাই ছড়ি ঘুরিয়েছে সেই সময়। কিছু বলতে গেলেই অপ্রিয় হয়ে যেতে হয়। পার্থ চট্টোপাধ্যায়-সহ গুটিকয়েকের জন্য এই অবস্থা এল। চরম ঔদ্ধত্য দেখিয়েছে। এখন সরকার সেই ব্যবস্থা নিয়েছে। বাম জমানাতেও দলদাসদের চাকরি হয়েছে। তবে পার্থ চট্টোপাধ্যায় যা করে গিয়েছেন, তা কোনও ভাবে হতে পারে না।’’
advertisement
তিনি বলেন, ‘‘নিয়োগ কর্তব্য, আর দূর্নীতি হল অবাঞ্ছিত, বামেরাও দলদাসদের চাকরি দিয়েছে। ব্রাত্য বসুকে শিক্ষামন্ত্রী করা হয়েছিল। তাঁকে সরিয়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায় চলে এলেন। আমরা বলতে গেলে অপরাধী হতাম। বিপদ ফাঁস হওয়ার পরে শুদ্ধিকরণ শুরু হল। এই বিতর্ক তৃণমূল সামলে নেবে। যারা অন্যায় করেছে, তাদের বিরুদ্ধে আদালত ব্যবস্থা নিক। দু’দিন আগে এক বিজেপি নেতা বলেছেন বোমা ফাটবে। তাহলে বলতে হবে সরকারকে বিপাকে ফেলতে এই সময় রায়। ভোটের আগে এই রায় কেন?’’