এদিন, সকাল ১০.৩০টা নাগাদ ইডি’র দপ্তরে পৌঁছন সারদা কাণ্ডে ( Sarada Scam) অভিযুক্ত কুণাল ঘোষ। সেখানেই তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জানা গিয়েছে সারদা-কাণ্ডে বেশ কিছু নতুন তথ্য হাতে এসেছে তদন্তকারী সংস্থার। তারই সূত্র ধরে সোমবার কুনাল ঘোষকে নোটিশ পাঠায় ইডি (ED)। তাঁকে মঙ্গলবার হাজিরা দিতে বলা হয়|
প্রায় সাড়ে ছ'ঘন্টা জিজ্ঞাসাবাদ চালান এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের আধিকারিকরা। তবে কী প্রশ্ন করা হয়েছে, বা তার কী জবাব তৃণমূল নেতা দিয়েছেন, তা নিয়ে প্রকাশ্যে কিছু জানাননি তৃণমূল নেতা।
advertisement
সিজিও কমপ্লেক্স থেকে বেরিয়ে কুণাল জানান, “২০১৩ সাল থেকে তদন্তের স্বার্থে আমি হাজিরা দিচ্ছি। সিবিআই, ইডি, রাজ্যের সিট যখন যে ডেকেছে আমি তদন্তে সহযোগিতা করেছি। এবারও আসব।” তিনি আরও জানান, “ভিতরে কী প্রশ্ন করা হয়েছে, কী জবাব দিয়েছি তা বাইরে জানাব না। কারণ এটা নীতিবিরুদ্ধ।”
প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগে সারদায় অন্যতম অভিযুক্ত দেবযানী মুখোপাধ্যায়কে জেরা করে সিবিআই। এছাড়াও বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে তদন্তকারীদের হাতে এসেছে বেশ কিছু ‘গুরুত্বপূর্ণ’ তথ্য। জানা গিয়েছে তারই ভিত্তিতে নতুন করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়েছে এই মামলায়|
তবে বিধানসভা নির্বাচনের নির্ঘন্ট ঘোষণার পর দলীয় মুখপাত্রকে এভাবে তদন্তকারী সংস্থা নোটিস পাঠানোয় কার্যত অস্বস্থিতে তৃণমূল কংগ্রেস| দলের নেতাদের অনেকেরই মত, এর পেছনে বিজেপির রাজনৈতিক উদ্দেশ্য কাজ করছে|
যদিও বিজেপির পালটা দাবি, দল কোনও তদন্তকারী সংস্থাকে প্রভাবিত করে না। তদন্তে যেমন উঠে আসছে সেভাবেই ইডি কিংবা সিবিআই চলছে বলে দাবি বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্বের।
তবে দলের 'সেকেন্ড ইন কম্যান্ড' অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রীকে কয়লা কান্ডে সিবিআই-এর জেরা এবং পাশাপাশি দলের মুখপাত্রকে ইডির নোটিশ, দুই মিলে কার্যত সাঁড়াশি চাপে তৃণমূল| এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল|