প্রসঙ্গত, কুণাল ঘোষ, তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক উল্লেখ করেন,” আর জি কর-এর জঘন্য ঘটনার আমরা সবাই প্রতিবাদী। যাঁরা মিছিল, সভা করেছেন, করতেই পারেন। বিরোধী দল তাদের কাজ করবে। করতেই পারে। নাগরিকরা উদ্বেগ জানাবেন। জানাতেই পারেন। শিল্পীরাও প্রতিবাদী মিছিলে হাঁটতেই পারেন। কিন্তু যে শিল্পীরা পরিকল্পিত কুৎসা করেছেন, মুখ্যমন্ত্রী-সহ সরকার ও দলকে জঘন্য ভাষায় আক্রমণ করেছেন, সরকার ফেলে দেওয়ার কথা বলেছেন, তৃণমূল সমর্থকদের কুৎসিত ভাষায় অপমান করেছেন, মিথ্যা তথ্য দিয়ে প্ররোচনা ছড়িয়েছেন, তাঁদের এই শীতের মঞ্চে তৃণমূল নেতাদের আয়োজিত জলসা বা অনুষ্ঠানে যেন মঞ্চে না দেখা যায়। এই শীতে এঁদের বয়কট করা হোক। কোনও তৃণমূল নেতার কোনও বিভ্রান্তি থাকলে উচ্চতর নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলে নিন। কর্মী সমর্থকদের আবেগকে সম্মান দিন।” কুণালের পোস্টের পরে একাধিক পোস্ট হয় দলের অন্দরেই। আইটি সেলের ইনচার্জ সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে দেবাংশু ভট্টাচার্য লেখেন, “স্পষ্টভাবে বলছি, আজ থেকে তিন-চার মাস আগে নেত্রীকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি ও আক্রমণ করা গায়ক, গায়িকা, নায়ক, নায়িকাদের যদি কোনও নেতা-নেত্রী আজ ভালো সময়ে দলীয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানগুলোতে অতিথি করে আপ্যায়ন করেন, তাহলে ওই সময়ে প্রাণপাত করে লড়াই করা দলীয় কর্মীরা কিন্তু তা মেনে নেবে না।দুটো থাপ্পর তারা হয়ত হজম করে নেবে, কিন্তু তাদের প্রাণপ্রিয় নেত্রীর অসম্মান তারা কখনো ভুলতে পারবে না। সরকার সরকারের কাজ করবে। সরকার সবার; সেক্ষেত্রে আমরা বলার কেউ নই। কিন্তু দলটা আমাদের। তাই দল আয়োজিত অনুষ্ঠানে যেন এমন কেউ মঞ্চ আলোকিত করে বসে না থাকে যাদের কর্মীরা ঘৃণার চোখে দেখে। এই পোস্ট কোনও দলীয় পদাধিকারীর নয়, আবেগী একজন সাধারণ কর্মীর।”এরই প্রেক্ষিতে অভিষেক বন্দোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসা করা হলে, তিনি বলেন,
advertisement
”কে কোথায় রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করবে সেটা তার এক্তিয়ার। আমি জোর করে কাউকে কিছু চাপিয়ে দিতে চাইনা। কে মঞ্চ, আলো, সাউন্ড, গান করবে, কী খাবার থাকবে সেটা আমার সিদ্ধান্ত। স্বাধীনতা সবার আছে। রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করার অধিকার আছে সকলের। তবে এই নিয়ে দলের তরফ থেকে কোনও নির্দেশ দেওয়া হয়নি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেননি। আমি জেনারেল সেক্রেটারি বলিনি। আমি সকলের স্বাধীনতায় বিশ্বাসী। আমাকে চার দিন আগে এক শিল্পী ফোন করেন। আমাকে বলেন আর জি কর কান্ডে প্রতিবাদ করেছেন বলে নাকি তার শো বাতিল হয়েছে। আমি প্রোগ্রাম কমিটির সঙ্গে যোগাযোগ করি। উনিই গান গাইবেন। এটাই আমাদের বাংলা। ১৪ আগস্ট আমি প্রতিবাদ করেছিলাম। এটাই বাংলা আর উত্তরপ্রদেশের ফারাক।” এদিন অবশ্য কুণাল ঘোষ পাল্টা বলেন, আমার মনে হচ্ছে কোথাও ভুল বোঝাবুঝি হচ্ছে। আমি যা বলেছি, তা আবেগ থেকে বলেছি।