যাতে মৃৎশিল্প হারিয়ে না যায় তাই কুমারটুলিতে শুরু হয়েছে মৃৎশিল্পী প্রশিক্ষণের কাজ। কুমারটুলি মানে মৃৎশিল্প। এখান থেকেই মূর্তি গড়ার কাজ শিখে প্রচুর শিল্পী নিজের এলাকায় স্বতন্ত্র ভাবে মূর্তি গড়ে। তারা বিভিন্ন জায়গায় মূর্তি তৈরি করে জীবিকা নির্বাহ করে।।
আরও পড়ুন: সবজির দামে আগুন! অথচ পাইকারি দরে দাম কমেছে, খুচরো বাজারে কমছে না কেন?
advertisement
তবে কুমারটুলিতে ছোট মূর্তি তৈরিতে বিখ্যাত মালা পাল। তাঁর মূল বৈশিষ্ট্য ছোট মাটির মূর্তি তৈরি করা। মূর্তির নাক ,চোখ, মুখ হাতের আঙুল প্রত্যেকটি জিনিস হাতে তৈরি করেন তিনি। তাঁর কাছে ছোট মাটির মূর্তি ছাঁচে তৈরি হয় না। তিনি সবকিছুই নিজের হাতে তৈরি করেন। সেই মালা পাল একটি স্কুল তৈরি করেছেন। তিন মাস হল সেই স্কুল উদ্বোধন হয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘দাদা আমাদের বাঁচান’, কোথায় গেলেন শুভেন্দু অধিকারী? বিরাট হুঁশিয়ারি
এখানে ৪০-৫০ জন ছাত্র-ছাত্রী মূর্তি বানানোর কাজ শিখছেন। তাঁরা প্রত্যেকে নিজের হাতে মূর্তি বানাচ্ছে। মালা পাল জানান,’ মৃৎশিল্প আস্তে আস্তে শেষ হয়ে যাচ্ছে ।নতুন করে শিল্পী তৈরি হচ্ছেনা। তাই এই পাঠশালাতে শিক্ষার্থীদের সেই ভাবেই শেখানো হচ্ছে, যাতে তাঁরা নিজেরা মূর্তি তৈরি করতে পারে।’
মালা পালের স্কুলে ভর্তি হতে গেলে প্রথমে লাগে ২ হাজার টাকা। পরে প্রতি মাসে ১ হাজার টাকা। মূলত কোর্স ৩ বছরের। তার মধ্যে যদি কেউ সম্পূর্ণরূপে শিখে যেতে পারে ,তাহলে তাকে সার্টিফিকেট দিয়ে দেওয়া হয়। কুমারটুলি থেকে সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়।
মালা পাল বলেন, ‘আমি যে মূর্তিগুলো বানায়, সেগুলোর মাটি উলুবেড়িয়া থেকে আনতে হয়। এঁটেল মাটি। তার সঙ্গে কিছুটা তুলো এবং ফেভিকল মিশিয়ে মাটিকে এমন ভাবে তৈরি করা হয়। যাতে মূর্তি বানানোর পরে মূর্তি চট করে ভেঙে না যায়।’ এক বছরের বেশি পর্যন্ত মূর্তি থাকে বলে দাবি করেন তিনি।
তবে মৃৎশিল্প হোক কিংবা অন্য কোন শিল্পকর্ম, ডিজিটাল যুগে সবকিছুই অতি সহজে করার মত ব্যবস্থা তৈরি হয়েছে। কিন্তু হাতে মূর্তি বানালে ,সেই মূর্তির যে নিখুঁত অবয়ব তৈরি হয়। সেটা মালা পালের স্টুডিওতে কিংবা কুমারটুলিতে না গেলে বোঝা যায় না।