#কলকাতা: আগামী ৫ ডিসেম্বর নাকতলা উদয়ন সংঘের তরফ থেকে প্রাক্তন মন্ত্রী ক্ষিতি গোস্বামীর স্মরণ সভার আয়োজন করা হয়েছে। সংঘের চেয়ারম্যান পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের উদ্যোগে ৷ পাশাপাশি আগামী ১৯ ডিসেম্বর প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদকের স্মরনসভা করবে আরএসপি ৷
যদিও দুই দলের নেতৃত্ব এর মধ্যে রাজনীতি খুঁজতে নারাজ। নাকতলা উদয়ন সংঘের বর্তমান চেয়ারম্যান তথা শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানান, ক্ষিতি গোস্বামী নাকতলা উদয়নের সঙ্গে বহুদিন জড়িত ছিলেন। তাঁর স্মরণসভা পালনের মধ্যে রাজনীতি খুঁজতে যাওয়া অনুচিত। আরএসপির সাধারণ সম্পাদক মনোজ ভট্টাচার্য বলেন, "ক্ষিতি গোস্বামী রাজ্যের জনপ্রিয় নেতা ছিলেন। রাজনীতির উর্ধে সব অংশের মানুষের সঙ্গে তাঁর ভালো সম্পর্ক ছিল। তাঁকে শ্রদ্ধা জানানোর বিষয়ের মধ্যে কোনও অস্বাভাবিকতা নেই ৷"
advertisement
সাম্প্রতিক অতীতে রাজনৈতিক দলের নেতৃত্বের স্মরণসভায় বিরোধী দলকে আমন্ত্রণ জানানোর দৃষ্টান্ত থাকলেও রাজনৈতিক ভাবে বিপরীত মেরুর কোনও নেতার স্মরণসভা করার উদাহরণ কার্যত নেই। সেখানে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের এই উদ্যোগকে রাজনৈতিক সৌজন্য হিসেবেই দেখছেন ওয়াকিবহল মহল ৷
জীবিত অবস্থায় বামফ্রন্টের জাঁদরেল নেতা ছিলেন ক্ষিতি গোস্বামী। শাসক দলের মন্ত্রী থাকাকালীন বিধানসভার অভ্যন্তরেই হোক বা ভোটের ময়দানে তৃণমূলকে কখনোই একইঞ্চি জমি ছাড়তেন না। বিরোধী হয়েও শাসক তৃণমূলের বিরুদ্ধে সমালোচনাও করতে কখনো পিছপা হননি। তৃণমূল নেতৃত্বও আক্রমণের পাল্টা জবাব দিতে কখনোই কার্পণ্য করেনি।
কিন্তু রাজনীতির গণ্ডি পেড়িয়ে ব্যক্তিগত জীবনে সেই পোড় খাওয়া নেতা ছিলেন একেবারে অন্য মানুষ। প্রতিপক্ষের নেতাদের সঙ্গেও তাঁর সম্পর্ক ছিল অত্যন্ত মধুর। প্রতিপক্ষও তাঁর প্রতি যথেষ্ট শ্রদ্ধা প্রদর্শন করত। রাজ্যের বর্তমান শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের উদ্যোগে বামফ্রন্টের প্রাক্তন মন্ত্রী ক্ষিতি গোস্বামীর স্মরণসভা করার উদ্যোগ সেই ধারাই বয়ে নিয়ে যাচ্ছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল ৷