শোভন জানিয়েছেন, ‘আমার একটাই লক্ষ্য ঋতুস্রাব, স্যানিটারি প্যাড নিয়ে মানুষের মনে যেধরণের কু-সংস্কার, ভুল তথ্য রয়েছে তা দূর করা ৷ আর বিশেষ করে মহিলাদের স্বাস্থ্য সচেতন করে তোলার জন্য এই পদক্ষেপ নেওয়া’ ৷
ডিলারদের থেকে মাত্র ২ টাকায় প্রত্যেকটি প্যাড কিনে নিজেই দক্ষিণ কলকাতার টয়লেটে প্যাড রাখার ব্যবস্থা করেন শোভন ৷ তবে পরের দিকে সেই প্যাডগুলোর অপব্যবহার হওয়ায়, সামান্য পয়সায় সেই প্যাডের ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নেন শোভন৷ বন্ধুর সাহায্য নিয়ে কাগজের বাক্স দিয়ে তৈরি করেন স্যানিটারি ন্যাপকিনের ভেন্ডিং মেশিন ৷ শোভন সাহায্য পান কলকাতার বেশ কয়েকজন ফিল্ম পরিচালক, কলেজ পড়ুয়া ও কর্মরত ব্যক্তিদের ৷
advertisement
শোভন জানিয়েছেন, ‘আমার এক বন্ধুর হঠাৎই প্রয়োজন হয়ে পড়েছিল স্যানিটারি ন্যাপকিনের ৷ কিন্তু সেই সময় কী করে তাঁকে সাহায্য করব বুঝতে পারিনি ৷ সেই ঘটনা থেকেই মাথায় আসে, এই ধরণের পদক্ষেপ নেওয়ার ৷’
এখনও পর্যন্ত প্রায় ৩০০০ টাকা খরচ করে ফেলেছেন শোভন ১০টি টয়লেটে স্যানিটারি ন্যাপকিনের জোগান দিতে ৷ শোভন চান, তাঁর এ প্রকল্পে যেন এগিয়ে আসে সবাই ৷ মাত্র ১০০ টাকা করে অনুদান করলেই, হয়তো শুধু কলকাতার দক্ষিণে নয়, গোটা শহরেই ছড়িয়ে পড়বে শোভনের স্যানিটারি ন্যাপকিনের ভেন্ডিং মেশিন !