TRENDING:

'নাগরিক' হাওয়ায় মহানগরের বাতাস এখন 'শুদ্ধ'

Last Updated:

ধূলিকণার পরিমাণ প্রতি ঘন মিটারে কমে দাঁড়িয়েছে ১৩৭ এমজি

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
ABIR GHOSHAL
advertisement

#কলকাতা: বড়দিনের আগে শহরের বাতাস নিয়ে আশার কথা শোনাচ্ছে রাজ্য পরিবেশ দফতর। ১ মাস আগেও শহরে বাতাসে ভাসমান সূক্ষ্ম ধূলিকণার পরিমাণ যেখানে ছিল প্রতি ঘন মিটারে ৩০০ এমজি। সেখানে ধূলিকণার পরিমাণ প্রতি ঘন মিটারে কমে দাঁড়িয়েছে ১৩৭ এমজি। রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের দাবি নতুন বছরে বাতাসে ভাসমান ধূলিকণার পরিমান কমিয়ে ১০০ এমজি করে ফেলবে তারা।

advertisement

কিন্তু দূষণ রোখা সম্ভব হল কী করে? পর্ষদের দাবি, রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে বসানো মিটার থেকে জানা গেছে বাতাসে ভাসমান ধূলিকণার পরিমাণ ৩০০ থেকে কমে হয়েছে ১৮২ এমজি। বিধাননগর আগে ছিল ২০০ এমজি। এখন তা গিয়ে দাঁড়িয়েছে গড়ে ১২৮ এমজি। ময়দান চত্বর ২৮০ এমজি থেকে ৩২০ এমজি যেখানে ছিল তা এখন হয়েছে ১৭৬ থেকে ১১৫ এমজি। যাদবপুরও ২০০ এমজি থেকে হয়েছে ১২৭ এমজি।

advertisement

পর্ষদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে লাগাতার ১৫ দিন ধরে প্রতি এক থেকে দুই ঘন্টা অন্তর রাস্তায় জল দেওয়া হচ্ছে। ধাপা এলাকায় যে সমস্ত বেআইনি ট্যানারি ছিল সেগুলি চিহ্ণিত করে ভেঙে দেওয়া হয়েছে। দমকল দিয়ে প্রতিদিন রাস্তার মাঝে থাকা গাছে দিনে ২ বার করে জল দেওয়া হচ্ছে। হাওড়া ও বিধাননগর এলাকায় রাস্তার পাশে খাবারের দোকানে ইলেকট্রিক ও গ্যাস ওভেন সরবরাহ করা শুরু হয়েছে। লন্ড্রির দোকানে গ্যাস চালিত ইস্ত্রি সরবারহ করা শুরু হয়েছে। কলকাতা ইএ বাইপাস ও বেলঘডিয়া এক্সপ্রেসওয়ে জুড়েই যত থানা খন্দ ছিল সেগুলিকেও মেরামত করা হয়েছে। ফলে যানজট কমেছে। গাড়ির ধোঁয়া থেকে যে দূষণ হত তা অনেকটাই কমেছে বলে দাবি রাজ্যের। পরিবেশ দফতর সূত্রে খবর, ধাপে ধাপে সমস্ত খাবারের দোকান ও লন্ড্রি দোকানে ওভেন সরবরাহ করা হবে।

advertisement

তবে হাওড়ার ঘুসুরিতে দূষণ অবশ্য কমানো যায়নি। বাতাসে সূক্ষ্ম ধূলিকণার পরিমাণ গড়ে এখনও ২৮৯ এমজি। ওই এলাকায় প্রচুর কারখানা আছে যেখানে থেকে দূষণ ছড়িয়ে পড়ছে। সাতটি কারখানা এখানে বন্ধ করা গেলেও দূষণ বাগে আনতে পারা যায়নি।

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
লালগোলাতে রাজরাজেশ্বরী রূপে পূজিতা হন মা কালী! দেওয়া হয় ইলিশের ভোগ
আরও দেখুন

শীতের শুরু থেকেই মহানগরের দূষণ নিয়ে চিন্তায় ছিলেন মহানাগরিক। একাধিক পদক্ষেপের কথা ঘোষণাও করেছিলেন। সেই কাজ শুরু করতে পেরেই দূষণ কমানো গেছে বলে দাবি তাঁর। অন্যদিকে পর্ষদের দাবি, যে যে ভাবে কাজ করলে দূষণ কমানো যায় সেগুলিকে তারা রোজ মনিটর করে যাচ্ছেন। ফলে কড়া নজরদারিতে আপাতত বাগে এসেছে কলকাতার দূষণ। তবে শীত বাড়ার পরে শহরের দূষণ চিত্র কোথায় গিয়ে দাঁড়ায় সেটাই দেখতে চাইছেন পরিবেশবিদরা।

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/কলকাতা/
'নাগরিক' হাওয়ায় মহানগরের বাতাস এখন 'শুদ্ধ'
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল