সুপ্রিম কোর্টে বিচারপতিদের ভর্ৎসনার মুখে পড়লেন টাটার আইনজীবী। ডিভিশন বেঞ্চ প্রশ্ন তোলে, জমি নেওয়ার আগে অধিগ্রহণ আইনের ৫৪ নম্বর ধারা অর্থাৎ জনমত যাচাইয়ের কাজ হয়েছিল না। তার সঠিক জবাব দিতে পারেননি টাটাদের আইনজীবী। তাতেই ক্ষোভ উগরে দেন বিচারপতিরা।
এদিন কোর্টরুমে বিচারপতি ও টাটার আইনজীবীদের মধ্যে যে কথোপকথন হল,
বিচারপতি- জমি নেওয়ার আগে অধিগ্রহণ আইনের ৫৪ নম্বর ধারায় জনমত যাচাই হয়েছিল কী? সেই রিপোর্ট কোথায়?
advertisement
টাটা- বেশিরভাগ মানুষ জমি দিতে রাজি ছিলেন। শুধু এটুকুই আমি বলতে পারি।
বিচারপতি - সেক্ষেত্রে কীভাবে কৃষকস্বার্থে জমি নেওয়া হয়েছে বলে দাবি করা হল?
টাটা-দাবি আমরা করিনি। রাজ্য সরকার করেছিল।
বিচারপতি- মিঃ সিংভি, আপনার জেনে কথা বলা উচিত। আপনারা যদি তা না করেন, তা হলে করছাড় চাইলেন কীভাবে? কোন ধারায়?
টাটা- করছাড়ের কথা চুক্তিতে ছিল। করছাড় পাওয়ার জন্য কৃষক স্বার্থের কথা বলা হয়নি। তবে আমি অস্বীকার করছি না যে চুক্তিতে কৃষক স্বার্থের কথাটি দুপক্ষের সম্মতিতেই লেখা হয়।
বিচারপতি - তাহলে তো বলতে হবে, জমি অধিগ্রহণ ব্যবসায়িক স্বার্থেই হয়েছিল। রাজ্য ও আপনারা তা জানতেন।
এরপরই চলে আসে ক্ষতিপূরণ প্রসঙ্গ। ক্ষতিপূরণের আবেদন ও নথি দেওয়ার নির্দেশ থাকলেও এদিন কোনওটিই করেননি টাটাদের আইনজীবী। বদলে টাটাদের তরফে মামলাটি অন্য বেঞ্চে সরানোর আবেদন করা হয়। তাঁর পরিবর্তে বিচারপতি ভৎর্সনা করে বলেন, ‘বৃহত্তর বেঞ্চ কী করবে? নতুন করে আবার মামলা শুনবে? এখানেই যুক্তি দিতে পারছেন না ? ওখানে কী বলবেন আপনাদের দাবির কোনও যৌক্তিকতা দেখছি না।’
এদিন টাটারা ক্ষতিপূরণ প্রস্তাব দিতে কিছুটা সময় চেয়ে আবেদন করেছে। সমস্ত নথি জমা দিতে রাজ্য সরকারও একই আবেদন করে। আগামী সপ্তাহেই মামলার চূড়ান্ত শুনানি হতে পারে।