৩ সপ্তাহ আগে তোলা মুখ্যমন্ত্রীর সেই অভিযোগ অবশেষে মানতে হল রাজ্য বিজেপিকে। নোট বাতিলের পর ১ মাস কাটলেও অবস্থা স্বাভাবিক হওয়ার লক্ষণ নেই। ব্যাঙ্ক ও এটিএমে শুধু ২ হাজার টাকার নোট। রাজ্যবাসীর ভোগান্তিতে চিড় ধরতে পারে ভোটব্যাঙ্কে। সেই সম্ভাবনা আঁচ করেই সক্রিয় হলেন দীলিপ ঘোষরা। বিধানসভায় বসেই মানলেন খুচরো সমস্যার কথা।
advertisement
রাজ্যের জন্য ৫০০ টাকার নোটের বরাদ্দ বাড়ানোর আবেদন রাজ্য বিজেপি সভাপতি। সেই চিঠি পৌঁছেছে অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলির কাছে। চিঠি গিয়েছে সর্বভারতীয় বিজেপি সভাপতি, রাজ্যে দলের মুখ্য পর্যবেক্ষকের কাছেও। নোটের বরাদ্দ নিয়ে আবেদনের চিঠি অমিত শাহ, বিজয়বর্গীদের কেন? উঠে আসছে বেশ কিছু সম্ভাবনা।
- নোটের বরাদ্দ দিয়ে জেটলির ওপর চাপ বাড়াতেই এই পন্থা
- নোট দুভোর্গে বাড়তে থাকা জনপ্রিয়তায় ভাটা পড়ার সম্ভাবনা
- খুচরো ও ছোট ব্যবসায়ী, কৃষকদের সমর্থন হারাতে হতে পারে
- নোটের বরাদ্দ না বাড়লে রাজ্যে দলের সমর্থন কমবে, এমনটাও বুঝিয়ে দিতে চেয়েছেন
- নোট বাতিলে যে দলের জনপ্রিয়তা প্রশ্নের মুখে, প্রচ্ছন্নভাবে এমন বার্তাও দেওয়া হয়েছে
সদ্য সমাপ্ত উপনির্বাচনে ভোটের হার বাড়িয়ে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছ বিজেপি। নোট ভোগান্তি সেই সাফল্য ধুয়ে দিতে পারে। তার ওপর নোট বাতিলের আগে ১৪ টি রাজ্যে বিজেপির জমির কেনার তথ্য সামনে আসায় অস্বস্তিতে গেরুয়া শিবির। বিধানসভায় নোট বাতিলে মানুষের ভোগান্তির কথা মানতে চাননি দিলীপ। তবে খুচরো সমস্যাকে তুলে ধরা যেন দেরিতে হলেও কার্যত বোধোদয়।