১) কারখানার শেডের কী হবে, মতভেদ আইনি মহলে
যার জমি, সে ফেরত পাবে। কিন্তু কারখানার শেড?
সিঙ্গুরে টাটার প্রকল্পের জন্য অধিগৃহীত জমি চাষযোগ্য করে তা চাষিদের হাতে তুলে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। আদালতের রায় আসার পরেই উঠেপড়ে লেগেছে রাজ্য সরকার। গত এক সপ্তাহের কর্মযজ্ঞের জেরে জমি পরিষ্কার ও জরিপের কাজ অনেকটাই সারা। কিন্তু ন্যানো গাড়ি তৈরির জন্য যে শেডটি তৈরি করেছিল টাটারা, তাতে এখনও হাত পড়েনি।
advertisement
প্রশ্ন উঠেছে, এই শেড এবং তার ভিতরে থাকা জিনিসপত্র এখন কার? রাজ্য কি এখন শেড ভেঙে ওই সব জিনিসপত্র সরিয়ে নিতে পারে?
২) সিঙ্গুরে জমির মালিকদের ঠিকানা খুঁজতে ঘাম ছুটছে প্রশাসনের
সিঙ্গুরে তখন দুপুর। নিধিরামের ছেলের ঠিকানা খুঁজে বের করতে ঘাম ছুটছে সিঙ্গুরের বিডিও অফিসের কর্তাদের। নমিতা সাধুখাঁ-কে নিয়েও একই দশা। এঁরা কারা? বিডিও অফিসের তালিকায় এঁরা বেড়াবেড়ি গ্রামের দুই অনিচ্ছুক কৃষক। টাটার কারখানার জন্য বাম সরকার এঁদের জমি অধিগ্রহণ করেছিল, কিন্তু সে সময় এঁরা ক্ষতিপূরণ নেননি। বুধবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত থেকে নেবেন ক্ষতিপূরণের চেক। সঙ্গে ফেরত নেবেন জমির পরচা। সেই মতো তালিকায় আরও অনেকের সঙ্গে তাঁদের নাম উঠেছে! কিন্তু সেই তালিকার কী দশা! যেমন কমলকান্ত সাঁতরার ঠিকানা বলতে শুধু বাবার নাম, নিধিরাম! নমিতা সাধুখাঁর আবার ঠিকানার জায়গায় বাবা বা স্বামীর নামটুকুও নেই! অনেকের আবার নাম, বাবার নাম থাকলেও দাগ বা খতিয়ান নম্বর উধাও!
৩) জল-তাণ্ডবে বেহাল বেঙ্গালুরু, দু’দিনে লোকসান ২৫ হাজার কোটি
সুনসান হাইওয়ে। টহল দিচ্ছে পুলিশ। তারমধ্যে হঠাৎ একটা চলমান জটলা।
যেন একটা মিছিল। সামনে হাঁটছেন বছর পঁচিশের এক তরুণী। পরনে পাটভাঙা হলুদ বেঙ্গালুরু সিল্ক। গা-ভর্তি গয়না। পিছনে আরও জনা কুড়ি মানুষজন। কারও হাতে বাসন, কারও বা কাঁধে বিশাল এক ঘড়া। কেউ বা নিয়েছেন জামাকাপড়ের পুঁটলি। ব্যাপার কী?
ব্যাপার গুরুতর। বুধবার মেয়ের বিয়ে! পাত্রী কন্নড়, কমার্সে স্নাতক, নাম— আর প্রেমা। বাড়ি বেঙ্গালুরুতে। আর পাত্র তামিল। বাড়ি তামিলনাড়ুতে, সীমানা থেকে ১১০ কিলোমিটার দূরে।
৪) স্বপ্ন দেখার সাহসটা ছিল বলেই মৃত্যুকে হারিয়েছেন দীপা
শিরদাঁড়ায় টিউমার। রাজস্থানের ২৬ বছর বয়সি উঠতি ক্রিকেটারকে বলা হয়েছিল তাঁর সামনে দুটো পথ খোলা। প্রতিবন্ধী জীবন অথবা মৃত্যু। হার মানেননি তিনি। অসম্ভব কঠিন পথ চলার সেই শুরু। প্রায় দু’দশক পরে তিনিই দেশের প্রথম প্যারালিম্পিক্স পদকজয়ী মেয়ে অ্যাথলিট। রিও রওনা হওয়ার আগেই যিনি বলেছিলেন পদক জিতে ফিরবেন। তিনি— দীপা মালিক।
১) সিঙ্গুরের ভবিষ্যৎ কী? মমতার দিকে আজ তাকিয়ে গোটা দেশ
সিঙ্গুরের ভবিষ্যৎ কী, আজ, বুধবার সানাপাড়ার সভামঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সেই বার্তার দিকেই তাকিয়ে আছে রাজ্যের মানুষ। এতদিন মুখ্যমন্ত্রীর সভা ঘিরে শুধু অনিচ্ছুক চাষিদের মধ্যেই উন্মাদনা দেখা যেত। এবার প্রথমবারের জন্য সেই ঘটনার ব্যতিক্রম ঘটতে চলেছে। দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ের ধারে ওই সভায় আজ হাজির হবেন বাম আমলে স্বেচ্ছায় জমি দেওয়া চাষিরাও। তাঁরা শুনতে যাবেন সিঙ্গুর নিয়ে মমতার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা। মুখ্যমন্ত্রী মুক্তমঞ্চে ‘গণভোট’ নিতে চাইলে তাতেও তাঁরা অংশ নিতে উৎসাহী বলে মঙ্গলবার জানিয়ে দিয়েছেন।
২) মদনের জামিন খারিজ করার আরজি, হাইকোর্টে সিবিআই
মদন মিত্রের জামিন খারিজ করার আরজি জানিয়ে মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টে আবেদন করল সিবিআই। আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সিবিআই বলেছে, ২০১৫ সালের ২৮ ডিসেম্বরের পরবর্তী মামলার অগ্রগতি খতিয়ে দেখা হয়নি। মদন মিত্র এখনও তৃণমূলের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ।
৩) কংগ্রেস দলটা আর করা যাবে কিনা এখন আমাকে ভাবতে হচ্ছে: মানস
অবশেষে কংগ্রেস ছাড়ার ইঙ্গিত দিলেন সবংয়ের বিধায়ক কংগ্রেসের মানস ভুঁইঞা। তিনি বলেন, কংগ্রেস দলটা আর করা যাবে কিনা এখন আমাকে ভাবতে হচ্ছে। যেভাবে গত চার মাস ধরে আমাকে অপমান ও বেইজ্জত করা হচ্ছে তা সহ্য করে দলটা আর কতদিন করতে পারব তা আমাকে ভাবাচ্ছে। বাধ্য হয়ে এবার অন্য কিছু করার কথা ভাবতে হচ্ছে।
৪) পুরানো পারিবারিক শত্রুতা থেকেই কাকা, কাকিমা, খুড়তুতো দিদিকে খুন, পুলিশি জেরায় কবুল গোপালের
সাইকেলে ধাক্কা মারার প্রতিবাদ করার জন্যই বাগুইআটির অর্জুনপুরে বাবা, মা ও মেয়েকে খুন করা হয়েছে। ঘটনায় মূল অভিযুক্ত ধৃত গোপাল মিত্র পুলিশের জেরায় এই কথা স্বীকারও করেছে। গত শুক্রবার সন্ধ্যায় মৃত সোমা মিত্রকে সাইকেলে ধাক্কা মারে গোপাল। তা নিয়েই সোমার সঙ্গে তার বচসা হয়। এমনকী, সোমা তাকে মারধর করারও হুমকি দেন বলে গোপালের দাবি। তারপরই খুড়তুতো দিদি সোমা, কাকা জ্ঞানেন্দ্র মিত্র ও কাকিমা বিমলা মিত্রকে লোহার রড দিয়ে সে খুন করে। এই ঘটনায় তার সঙ্গী কেউ ছিল কি না তা জানার জন্য গোপালকে সোমবার রাতভর জেরা করে পুলিশ। কিন্তু, সে একাই খুন করেছে বলে পুলিশের কাছে দাবি করেছে। ধৃতকে মঙ্গলবার বারাসত সিজেএম আদালতে তোলা হলে বিচারক তাকে পাঁচ দিনের পুলিশ হেপাজতে রাখার নির্দেশ দেন। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতকে আরও জেরা করা হবে।