১) পদকই এ বার নিশানা দীপার, ইতিহাসে ভল্ট বাঙালির
ছোট্টখাট্টো চেহারার মেয়েটা পারল! পাড়ার আর পাঁচটা সাধারণ স্কুলছাত্রীর মতো দেখতে মেয়েটা ইতিহাস গড়ে ফেলল! বাঙালি তা হলে পারে বিশ্বের সর্বোচ্চ মঞ্চে চমকে দিতে, তা-ও আবার বঙ্গ কোচের হাত ধরে! বিস্ময়ের ঘোরে দীপা কর্মকারকে দেখছিলাম বারবার। অলিম্পিক্সের বিশাল জিমন্যাস্টিক্স ভেলোড্রোমের অ্যাড্রেস সিস্টেেম তখন ঘোষণা হচ্ছে, ‘‘কর্মকার প্রথম ভারতীয় জিমন্যাস্ট যিনি অলিম্পিক্সে ফাইনাল রাউন্ডে উঠেছেন।’’ দীপার উচ্ছ্বসিত মুখটা এক বার ঝকঝক করে উঠল। আবার পরমুহূর্তেই মুছে গেল। ‘‘সবে প্রথম হার্ডলটা পেরোলাম। এ বার তো পদকের লড়াই। কাজটা আরও কঠিন। তবে আমি কিন্তু শেষ পর্যন্ত লড়ে যাব। এখন থেকে অলিম্পিক্স পদকই লক্ষ্য আমার।’’ বোঝা গেল, পরের লক্ষ্য কতটা দৃঢ় ভাবে স্থির করে ফেলেছেন।
advertisement
২) গৌরব নিয়ে বিদায়, বলে গেলেন বিন্দ্রা
জীবনের শেষ গুলিটা ছুড়েই বিরক্তিতে গ্লাভস খুলে ফেললেন। তার পর তাকালেন স্কোর বোর্ডের দিকে। বোঝাই গেল আফসোসে ডুবে গিয়েছেন। মিক্সড জোনে তো কথাই বলতে চাইছিলেন না অভিনব বিন্দ্রা। চূড়ান্ত হতাশ। অনেক অনুরোধে তাঁর মুখ থেকে বের হল শুধু কয়েকটা লাইন। ‘‘শেষটা আরও ভাল হলে ভাল লাগত। পদক পেলে তো ভাল লাগেই। কিন্তু যেখানে শেষ করলাম সেটাও যথেষ্ট গৌরবের। এ রকম মঞ্চে সব কিছুই ঘটতে পারে। মাথা উঁচু করেই বিদায় নিচ্ছি।’’ অলিম্পিক্সে ভারতের একমাত্র ব্যক্তিগত সোনার মালিক সোমবার নিজের শেষ গেমসে ফাইনালে উঠেও বিদায় নিলেন কিছুটা নাটকীয় মূহূর্ত তৈরি করে। শ্যুট অফে।
৩) বেলাগাম গো-রক্ষা বাহিনীর হুমকি মোদীকে
স্বঘোষিত গো-রক্ষকদের তোপ দাগতে গিয়ে পাশে টেনেছেন সঙ্ঘ-প্রধান মোহন ভাগবতকে। কিন্তু তার পরেও সঙ্ঘের অন্দরের প্রবল বিদ্রোহে তুমুল অস্বস্তিতে বিজেপি। জেরবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নিজেও। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সঙ্ঘ-ঘনিষ্ঠ বিভিন্ন গো-রক্ষা সংগঠনের তিরের মুখ এখন ঘুরে গিয়েছে মোদীর দিকে! এই সব সংগঠনের কোনও শাখার তরফে প্রধানমন্ত্রীকে আইনি নোটিস পাঠানোর তোড়জোড় চলছে, কোনওটি প্রধানমন্ত্রীর ‘বেলাগাম’ মন্তব্য প্রত্যাহারের দাবিতে দেশ জুড়ে আন্দোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছে, কোনও শাখা আবার প্রধানমন্ত্রীর ‘সুমতি’ ফেরানোর জন্য যজ্ঞের আয়োজন করছে! সেই সঙ্গে চলছে মোদীর বিরুদ্ধে বিষোদ্গার! গো-রক্ষকদের নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্যে যে তাদের সায় রয়েছে, তা বোঝাতে গত কালই সঙ্ঘের তরফে বিবৃতি জারি করা হয়। আজ দলিত নিগ্রহকারীদের শাস্তি দেওয়ার কথা বলে আরও একটি বিবৃতি জারি করে সঙ্ঘ নেতৃত্ব মোদীর পাশেই দাঁড়িয়েছেন। কিন্তু তাতেও গো-রক্ষকদের হেলদোল নেই।
৪) এক ঘণ্টায় ১০০ মিলিমিটার, ভেসে গেল দক্ষিণ কলকাতা
মরসুমের প্রথম ভারী বৃষ্টি। আর তাতেই কার্যত অচল হয়ে পড়ল দক্ষিণ কলকাতার বিস্তীর্ণ এলাকা। ভাসল মধ্য কলকাতার একাংশও। সোমবার বিকেল সাড়ে চারটে থেকে সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত বৃষ্টির পরে সাদার্ন অ্যাভিনিউ, বালিগঞ্জ, ঢাকুরিয়া, চেতলা দিয়ে যিনি যে পথেই যেতে গিয়েছেন, জমা জলে আটকে পড়েছেন। জল জমে যানজট এমন পর্যায়ে পৌঁছয় যে, ১৫ মিনিটের দূরত্ব অতিক্রম করতে দেড় ঘণ্টা লেগে যায়।
১) ইতিহাস গড়ে ফাইনালে দীপা
রিও ওলিম্পিকসের মঞ্চে বাঙালি জিমন্যাস্ট দীপা কর্মকার ইতিহাস গড়লেন। আর্টিস্টিক জিমন্যাস্টিকসে আপাতত তাঁকে ঘিরে পদক জয়ের স্বপ্ন দেখছে ভারত। জীবনের প্রথম ওলিম্পিকসের আসরে ত্রিপুরার এই জিমন্যাস্ট ভল্টের বাছাই পর্বে অষ্টম স্থানে শেষ করে ব্যক্তিগত ইভেন্টের ফাইনালে উঠলেন। আগামী ১৪ আগস্ট মেডেল রাউন্ডে বিশ্বের সেরা আট জিমন্যাস্টের মধ্যে দীপাও কাঙ্খিত পদক জয়ের লক্ষ্যে ঝাঁপাবেন।
২)পাকিস্তানে হাসপাতালে জঙ্গি হানা, হত ৭৫
পাকিস্তানের বালুচিস্তান প্রদেশের কোয়েটায় একটি সরকারি হাসপাতালে আত্মঘাতী বিস্ফোরণে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৭৫ জন। জখমের সংখ্যা ১০০-র বেশি। মৃতদের মধ্যে অধিকাংশই স্থানীয় আইনজীবী বলে পুলিশ জানিয়েছে। তেহরিক-ই-তালিবানের একটি শাখা সংগঠন জামাত-উল-আরা এই বিস্ফোরণের দায় স্বীকার করেছে।
৩) ডেঙ্গু ভয়াবহ আকার নিচ্ছে, এবার মৃত্যুর সংখ্যা গত বছরের পাঁচগুণ
এ বছর ডেঙ্গুতে মৃত্যুর সংখ্যা গত বছরের তুলনায় অনেক বেশি— অন্তত গত বছরের পাঁচগুণ। ২০১৫ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৪ আগস্ট পর্যন্ত গোটা রাজ্যে মাত্র দু’জন মারা গিয়েছিলেন ডেঙ্গুতে। সেখানে এ বছরের ৪ আগস্টের মধ্যেই ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে ডেঙ্গুতে। তারপর মাত্র তিনদিনে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৪।
৪) সিপিএমকে ধূলিসাৎ করতে আগরতলায় মমতা, বিমানবন্দরের বাইরে শুধুই মানুষের ঢল
বিপুল জনাদেশে সিপিএম-কংগ্রেসে জোটের ‘খোয়াব’কে ধূলিসাৎ করে এবার টার্গেট ‘অপারেশন ত্রিপুরা’। সোমবার বিকালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন আগরতলা বিমানবন্দরের বাইরে এলেন, জনতা-জনার্দনের সিংহগর্জনে তখন কানপাতা দায়। আগরতলার এক-তৃতীয়াংশ বাসিন্দাই যেন উঠে এসেছেন বিমানবন্দরে। মমতা ব্যানার্জি জিন্দাবাদ, বামফ্রন্ট সরকার আর নেই দরকার, মমতা আগরতলার পথে/জনতা তাঁর সাথে-এহেন স্লোগানে মুখরিত উত্তর-পূর্ব ভারতের এই বিমানবন্দর যেন বিগত ২০০৯ থেকে ২০১১ বিধানসভা নির্বাচনের আগে পশ্চিমবঙ্গের যে কোনও প্রান্তের ‘নস্টালজিক কোলাজ’।