তৃণমূল কর্মী জয়দেব জানা খুনের ঘটনায় মানস ভুঁইয়া সহ ২৩ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়। গ্রেফতারি এড়াতে মেদিনীপুর জেলা আদালতে অন্তর্বর্তী জামিনের আবেদন করেন মানস ভুঁইয়া-সহ তিন জন। গত ১৪ জুন মানস সহ তিন জনের অন্তবর্তী জামিনের আবেদন খারিজ করে দেয় মেদিনীপুর আদালত।
এরপর ১ জুলাই এই ৩ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির জন্য আদালতে আবেদন করেন তদন্তকারী অফিসার। সেই আবেদনেই সোমবার সম্মতি দিল আদালত।
advertisement
নির্বাচনের মুখে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পশ্চিম মেদিনীপুরের সবং। ১১ এপ্রিল সবংয়ে ছিল বিধানসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ ৷ ৮ এপ্রিল গভীর রাতে খুন হন তৃণমূল কর্মী জয়দেব জানা। দলের প্রচার সেরে ফেরার পথে দুবরাজপুরে দুষ্কৃতীরা তাঁকে আক্রমণ করে।
সবংয়ের বিধায়ক মানস ভুঁইয়ার বিরুদ্ধে ওই তৃণমূল কর্মীকে খুন করানোর অভিযোগ ওঠে ৷ মানস ভুঁইয়া সহ ২৩ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয় ৷ ১০ এপ্রিল অর্থাৎ নির্বাচনের ঠিক আগেরদিন খুনে জড়িত সন্দেহে ৩ মহিলা-সহ গ্রেফতার করা হয় ১১ জনকে ৷
এদিন মানসের সঙ্গে জেলা কংগ্রসে সভাপতি বিকাশ ভুঁইয়া ও পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির বিরুদ্ধেও গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
মানস ভুঁইয়ার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির পর রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থের অভিযোগ তুললেন সুজন চক্রবর্তী ৷ তিনি বলেন, ‘এটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ঘটনা ৷ সরকারপক্ষের প্রতিহিংসামূলক আচরণের উদাহরণ ৷’
একইসঙ্গে রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষও মানস ভুঁইয়ার পাশে দাঁড়িয়েছেন ৷ অন্যদিকে, গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হওয়ার পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করেন মানস ৷ সাক্ষাৎ শেষে তিনি জানান, ‘গ্রেফতারি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে বললাম ৷ উনি বললেন আমি দেখছি ৷ আমি একজন বিধায়ক, উনি মুখ্যমন্ত্রী ৷ উনি ডাকলে একশোবার যাব ৷’